এটিএম আজহারের খালাসের খবরে ফেসবুকে যতো আলোচনা-সমালোচনা
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেয়েছেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। রায়ের কিছুক্ষণ পরই এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দাবি করে এর কৃতিত্ব জুলাই যোদ্ধাদের বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রায় শুনে প্রথমেই আলহাম্দুলিল্লাহ সুম্মা আলহাম্দুলিল্লাহ লিখে পোস্ট করেছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। তার কিছুক্ষণ পর এই রায়কে হক্বের ঝলক আখ্যা দিয়ে করা আরেক পোস্টে দলের নেতাকর্মীদের উচ্ছাস প্রকাশ না করে আল্লাহর শুকরিয়া করতে বলেন জামায়াত আমির।
এটিএম আজহারের মুক্তিতে সত্যের বিজয় হয়েছে দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি ফারুক হাসান। এই রায়ের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচার যে মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ ছিলো তা প্রমাণ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন লিখেছেন, এটিএম আজহার ভাই খালাস পেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। আলহাম্দুলিল্লাহ।
জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ এই নেতার রায় নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা এবং এনসিপি নেতা সারজিস আলমও। আওয়ামী দুঃশাসনে প্রাণ হারানো মানুষদের স্মরণ করে তিনি লিখেছেন, হয়তো সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী কিংবা মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীও এভাবে ফিরে আসতেন। তিনি জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে পাওয়া সুযোগের আমানতের খেয়ানত না করারও আহ্বান জানান।
জুলাই আন্দোলনের আরেক যোদ্ধা শিবির নেতা সাদিক কায়েম প্রধান বিচারপতির মন্তব্যকে উদৃতি করে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে ট্রাইব্যুনালের পূর্ববর্তী রায়গুলোর আইনগত রিভিউ করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদও ইতোমধ্যে ফাঁসি কার্যকর হয়ে যাওয়া রায়গুলোও পুনর্বিবেচনা করে উন্মোচন করার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন। জামায়াতপন্থিদের অনেকে ২০১৫ সালে এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদন্ডের রায়ের প্রতিবাদ করে ফেসবুকে পোস্ট করার অপরাধে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সাহাবুদ্দিন নামে এক যুবককে ক্রসফায়ার হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে আওয়ামী দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে পোস্ট করেছেন। অনেকে আবার আলোচিত স্কাইপি কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামনে এনে তৎকালীন বিচার ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেছেন।
রায়ের পর এটিএম আজহারুল ইসলামের আইনজীবী শিশির মনির বলেছেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে মিথ্যা পরাজিত হয়েছে, আদালতের মর্জাদা রক্ষা হয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে আপিল বিভাগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার ভুল ছিল, বিচারের নামে অবিচার হয়েছে মন্তব্য করেছে বলেও জানান শিশির মনির।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: