• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ইসির ৬ কর্মকর্তাকে ডেকেছে দুদক

প্রকাশিত: ০০:৪০, ৩০ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ইসির ৬ কর্মকর্তাকে ডেকেছে দুদক

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনায় ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের’ অভিযোগে যে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক সে বিষয়ে বক্তব্য নিতে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে দায়িত্বে থাকা ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে সংস্থাটি।

বুধবার তাদের দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

রবিবার দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ২৬ জুন নির্বাচন কমিশন-ইসি সচিবকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের তলব করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান মো. রাকিবুল হায়াত।

দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যাদের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে তারা হলেন- ইসি সচিবালয়ের উপপ্রধান মো. সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো. মাহফুজুল হক, আইডিয়া প্রকল্পের আইটি সিস্টেম কনসালটেন্ট এএইচএম আব্দুর রহিম খান, উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেন, সিস্টেম অ্যানালিস্ট ফারজানা আখতার, তৎকালীন সিনিয়র মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

দুদকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এবং তার সহযোগীরা ‘সমীক্ষা ছাড়াই’ প্রকল্প গ্রহণ করে। দরপত্র ছাড়া এবং বাজার মূল্যের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দামে দেড় লাখ ‘নিম্নমানের’ ইভিএম কেনায় রাষ্ট্রের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকার আর্থিক ‘ক্ষতি’ হয়েছে।

তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালে এক লাখ ৫০ হাজার ইভিএম কেনে। এর মধ্য এক লাখ ৫০০টি ব্যবহারের ‘অনুপযোগী’ বলে অভিযোগ রয়েছে।

এর মধ্যে ৬১৮টি ইভিএম রয়েছে ইসিতে। প্রায় ৮৬ হাজার রয়েছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ)। ১০ আঞ্চলিক কার্যালয়ে রয়েছে প্রায় ৬২ হাজার ইভিএম।

জানুয়ারিতে দুদকের এক অভিযানে ১ হাজার ৫৯৯টি ইভিএমের কোনো হদিস না পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, ইভিএমগুলো ‘অযত্ন-অবহেলায়’ পড়ে রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে থাকা ৬১৮টির মধ্যে দৈব চয়নের ভিত্তিতে কয়েকটি ইভিএমের ‘কার্যক্ষমতা’ যাচাই করে ত্রুটি দেখা গেছে, যা ‘নিম্নমানের ইভিএম কেনার’ ইঙ্গিত দেয়।

দুদক টিমের সঙ্গে উপস্থিত বিশেষজ্ঞরাও ইভিএমগুলো ‘মানসম্মত নয়’ বলে মত দেন।

এক যুগ আগে বাংলাদেশে ইভিএম ব্যবহারের শুরু থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে তা নিয়ে চলছে বিতর্ক। আওয়ামী লীগ সরকার ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে থাকলেও তার ঘোর বিরোধী ছিল বিএনপি।

দলটির নেতাদের ভাষ্য ছিল, যন্ত্রের মাধ্যমে ভোটগ্রহণে ব্যাপক কারচুপির সুযোগ রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বিভিন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হলেও ২০২২ সালে দায়িত্ব নেওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করে।

ওই বছরের মে মাসে অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ কায়কোবাদসহ একদল প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকে ইভিএম দেখিয়ে ভোটগ্রহণে তা ব্যবহারের সম্মতি নেয় ইসি।

ইভিএমের কার্যক্রম দেখে ইসির সঙ্গে ২০২২ সালের ২৫ মে মতবিনিময়ের পর ভোটে যন্ত্রগুলো ব্যবহারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন জাফর ইকবাল ও কায়কোবাদ।

সেই কমিশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অন্তত দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনা করে। তবে দুই লাখ নতুন ইভিএম কেনার প্রস্তাবে সরকার সায় না দেওয়ায় ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা থেকে সরে আসে।
 

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: