ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ

ছবি: সংগৃহীত
ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ। পরশুরাম ও ফুলগাজীতে বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামলেও ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। নিচু এলাকা ও গ্রামীণ সড়কগুলো এখনো পানিতে তলিয়ে।
এদিকে, নোয়াখালীতে জেলায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় এখনো লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগে দিন পার করছে। বন্যা পরিস্থিতিতে উৎকণ্ঠায় বাসিন্দারা।
টানা বৃষ্টি আর আর উজানের ঢলে গত ৮ আগস্ট প্লাবিত হয় ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার অন্তত ১২০টি গ্রাম। পানি সরে গেলেও নিচু এলাকা ও গ্রামীণ সড়কে এখনও জলাবদ্ধতা।
কাদায় একাকার ঘরের ভেতর-বাহির। বহু পরিবার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরেও ঘরে উঠতে পারছে না। বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, নেই সুপেয় পানি, নেই তেমন কোনো ত্রাণ তৎপরতাও।
স্থানীয়দের অভিযোগ গতবারের ভয়াবহ বন্যার পর বাঁধ মেরামতের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও, বাঁধ টেকেনি কয়েক মাসও।
অবকাঠামোগত ক্ষতি ছাড়াও, ধান, সবজি ও মাছচাষে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি ও মৎস্য বিভাগ। পুনর্বাসন ও দীর্ঘমেয়াদি নদীশাসনের দাবি তুলেছেন রাজনীতিবিদরা।
এদিকে, নোয়াখালীতে আবারো বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জলাবদ্ধতার পর এবার বন্যাপরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে। সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় এখানো লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুভোর্গে দিন পার করছে।
অন্যদিকে, অবিরাম বৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার অভাবে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বেনাপোল স্থলবন্দরে হাঁটুপানিতে ব্যহত হচ্ছে কাস্টমস শুল্কায়ন, পন্য ডেলিভারি ও লোড আনলোড প্রক্রিয়া। কাস্টমস সার্ভারে কোনো কাজ হচ্ছে না। ব্যহত হচ্ছে রাজস্ব আদায়সহ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: