কোটি বাংলাদেশির ব্যক্তিগত তথ্য ভারতের হাতে! (ভিডিও)
নিষিদ্ধ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটির কাছে কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য। হুমকিতে পড়তে পারে জাতীয় নিরাপত্তা। ধরা ছোয়ার বাইরে বিআরটিএর অসাধু কর্মকর্তারা।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলছেন, মাদ্রাজ সিকিউরিটির সাথে দেশবিরোধী চুক্তি করেছিলো আওয়ামী সরকার। আইনের আওতায় আনা হবে বিআরটিএর অভিযুক্তদের। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চক্রান্ত করেই বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিলো দেশের মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- লাইসেন্স প্রিন্টিং ও ডাটাবেইজের কাজ করে ভারতের কালো তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান এমএসপিএল বা মাদ্রাস সিকিউরিটি এন্ড প্রিন্টিং লিমিটেড। বিআরটিএর কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজোশে অবৈধভাবে কাজ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অথচ প্রতিষ্ঠানটি নিজ দেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায়ও নিষিদ্ধ। অভিযোগ রয়েছে বিআরটিএর তৎকালীন প্রকৌশল শাখার পরিচালক শিতাংশু শেখরসহ বেশকজন অসাধু কর্মকর্তা নিজেদের আওয়ামী লীগ ও ভারতের আশীর্বাদপুষ্ট পরিচয় দিয়ে লাইসেন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী চল্লিশ লাখ গ্রাহকের লাইসেন্স প্রিন্টিং শেষ করার কথা থাকলেও মাত্র ২৬ লাখ গ্রাহকের প্রিন্টিং করতে পেরেছে তারা। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও এখনো লাখো মানুষের লাইসেন্স দিতে পারেনি মাদ্রাজ সিকিউরিটি। ফলে বিআরটিএতে বাড়ছে গ্রাহকের চাপ বাড়ছে ভোগান্তিও।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে এই তথ্য ব্যবহার করে বড় ধরণের ক্ষতির হুমকিতে পড়তে পারে।
বিআরটিএ বলছে, মাদ্রাস সিকিউরিটির সাথে আওয়ামী সরকারের চুক্তিটি ছিলো রাষ্ট্র বিরোধী। দেশবিরোধী কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি নয়,, জড়িতদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা বলছেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বিআরটিএ চুক্তি নবায়ন করবে না জেনেই ইচ্ছাকৃতভাবেই সার্ভার ডাউন করে রেখেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাস সিকিউরিটিজ।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: