জনগণের আস্থা রক্ষায় সেনাবাহিনী অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা
দেশ পুনর্গঠন ও ২০২৪-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে সশস্ত্র বাহিনীর অব্যাহত সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জনগণের আস্থা রক্ষায় সেনাবাহিনী সবসময় অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছে। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে। এ সময় দেশ পুনর্গঠনে সেনাবাহিনীর চলমান ভূমিকা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ঢাকার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তাদের পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে দেশের জন্য ত্যাগ ও তৎপরতার এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখবে।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস দেশের মুক্তিযুদ্ধ, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তরণ এবং সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন- তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন। বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনায় তিন বাহিনীর প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, শান্তিরক্ষী সদস্যদের পরিবারবর্গসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণের শুরুতেই ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সকল বীরদের স্মরণ করেন। পাশাপাশি তিনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত, আহত এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, তাদের দুঃসাহসিক আত্মত্যাগ আমাদের জন্য দেশ পুনর্গঠনের নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে। ২৫ মার্চের রাত থেকেই মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের সংগ্রাম শুরু হয় এবং ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সম্মিলিত অভিযানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন চূড়ান্ত রূপ পায়। তিনি বলেন, ১৯৭১-এর যৌথ অভিযানই ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় নিশ্চিত করেছিল- যা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: