শুভ জন্মদিন সুবর্ণা মুস্তাফা
জননন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার জন্মদিন আজ। হুমায়ূন আহমেদের সেই জনপ্রিয় নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’ এর অনন্য চরিত্র মুনা বলেছিল, “আমরা সব সময় ভুল মানুষকে ভালোবাসি।“ আমরা বলি, সুবর্ণা মুস্তাফা- সবাই আপনাকেই ভালবাসে। আবারও জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। জানা গেছে, করোনার কারণে এবারের জন্মদিনে বিশেষ কোনো আয়োজন রাখেননি সুবর্ণা মুস্তাফা। বাসায় ঘরোয়াভাবে উদযাপন করছেন দিনটি।
১৯৫৯ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। তাঁর পৈত্রিক নিবাস ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নে। সুবর্ণার বাবা গোলাম মুস্তাফা ছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা ও আবৃত্তিশিল্পী। মা পাকিস্তান রেডিওতে প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন। মাত্র পাঁচ-ছয় বছর বয়সে নাটকের জগতে প্রবেশ সুবর্ণার। বেতার নাটক দিয়ে যাত্রা এই অঙ্গনে। আবৃত্তিতেও সমান দক্ষতার ছাপ রেখেছেন এই গুণী অভিনেত্রী।
সুবর্ণা প্রথম টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন নবম শ্রেণিতে পড়াকালে। ১৯৭১ সালের আগ পর্যন্ত তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে নিয়মিত টেলিভিশনে কাজ করেছেন। ১৯৯০ সালে বিটিভিতে প্রচারিত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে অভিনয় করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। এতে ‘মুনা’ চরিত্রে তাঁর অভিনয় সব মহলের ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। হুমায়ূন আহমেদের নাটকে একের পর এক অভিনয় করতে থাকেন তিনি। তাঁর অনেক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়া ধারাবাহিক নাটকগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘গ্রন্থিকগণ কহে’, ‘অয়োময়ো’। একক নাটকেও বেশ গ্রহণযোগ্যতা মেলে এই সুদক্ষ অভিনেত্রীর। জনপ্রিয় অভিনেতা আফজাল হোসেন এবং প্রয়াত হুমায়ুন ফরিদীর সাথে সুবর্ণা মুস্তাফার অভিনয়ও মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। একক নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- একা একা, কোথাও আলো নেই, নিলয় না জানি, তুমি ইত্যাদি।
এরপর চলচ্চিত্রেও অভিনয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। তাঁর অভিনীত সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘ঘুড্ডি’, ‘লাল সবুজের পালা’, ‘নতুন বউ’, ‘নয়নের আলো’, ‘সুরুজ মিয়া’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘রাক্ষস’, ‘অপহরণ’, ‘স্ত্রী’, ‘দূরত্ব’ ইত্যাদি। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক।
মন্তব্য করুন: