ড্যাপ-এ ভাঙা পড়বে ঢাকার চারপাশের ১৫ সেতু

ফাইল ছবি
রাজধানীর জন্য করা নতুন বিশদ পরিকল্পনা ‘ডিটেইল এরিয়া প্ল্যাল-ড্যাপ’ এ যুক্ত হচ্ছে ঢাকার পাশের তিন জেলা নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও কেরানীগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা। নতুন সংযুক্ত এলাকা মিলিয়ে ঢাকার আয়তন হতে যাচ্ছে ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে হলে ড্যাপ এলাকায় নদী ও খালের ওপর থাকা ১৫টি সেতু পুনর্নির্মাণের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ (২০১৬-২০৩৫) এর চূড়ান্ত খসড়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত এক জাতীয় সেমিনারের মাধ্যমে এই প্ল্যান তুলে ধরা হয়।
ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ এ বলা হয়, প্রকল্প এলাকায় ১৩২৭ কিলোমিটার নদী ও খাল রয়েছে। ঢাকার যানজট নিরসনে বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীকে কেন্দ্র করে ১১০ কিলোমিটার বৃত্তাকার নৌপথ তৈরি করা হবে। যা নগরীর আভ্যন্তরীণ নগর যোগাযোগের পাশাপাশি যুক্ত করবে মূল নৌরুটের সংগেও। এই রুট নিশ্চিত করতে হলে ঢাকার চারপাশের প্রবেশ পথের ১৫টি সেতু সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
সেতুগুলো হলোঃ
১। গাবতলী সেতু, আমিনবাজার, সাভার।
২। বিরুলিয়া সেতু, বিরুলিয়া, সাভার।
৩। আশুলিয়া সেতু, ধউর, আশুলিয়া বাজার।
৪। প্রত্যাশা সেতু, টংগী।
৫। কামারপাড়া সেতু।
৬। টংগী সেতু, আব্দুল্লাহপুর, টংগী।
৭। টংগী রেল সেতু-১, আব্দুল্লাহপুর, টংগী।
৮। টংগী রেল সেতু-৩, আব্দুল্লাহপুর, টংগী।
৯। তেরমুখ সেতু।
১০। পূর্বাচল (বালু) সেতু, রূপগঞ্জ।
১১। ইছাপুর সেতু, রূপগঞ্জ।
১২। চনপাড়া সেতু, ডেমরা।
১৩। সুলতানা কামাল সেতু, ডেমরা।
১৪। ১ম বুড়িগঙ্গা সেতু, পোস্তগোলা।
১৫। ২য় বুড়িগঙ্গা সেতু বাবুবাজার।
ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরের ৯৫ শতাংশ মানুষ গণপরিবহন চলাচল করেন। পরিবহন সংকট এবং সড়কে যানজটের কারণে প্রতিনিয়ত তাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখে নগর যাতায়াত ব্যবস্থাকে দ্রুতগামী করতে আমরা বৃত্তাকার নৌপথ চালুর প্রস্তাবনা রেখেছি। বৃত্তাকার নৌপথ চালু করতে হলে নৌযান চলাচলের উপযোগী পরিবেশ প্রয়োজন। কিন্তু ঢাকার নদীগুলোর ওপর থাকা অনেকগুলো ব্রিজ নিচু। এই ব্রিজগুলোর কারণে নৌপথ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই ড্যাপে ব্রিজগুলো পুননির্মাণের পরিকল্পনায় যুক্ত করা হয়েছে।
বিভি/কেএস/রিসি
মন্তব্য করুন: