• NEWS PORTAL

মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মানবাধিকার সুরক্ষায় চ্যালেঞ্জ: জাতিসংঘের পরামর্শ মেনে চলা নৈতিক দায়িত্ব

প্রকাশিত: ০৮:০৮, ১৯ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ০৮:০৯, ১৯ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
মানবাধিকার সুরক্ষায় চ্যালেঞ্জ: জাতিসংঘের পরামর্শ মেনে চলা নৈতিক দায়িত্ব

বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেটের ঢাকা সফর শেষ হলেও তা নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা থেমে নেই। সিঙ্গেল কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশ সফরের কারণেই দেশি-বিদেশি আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন মিশেল। এখানে তিনি সিরিজ বৈঠক করেছেন শরণার্থী, নাগরিক সমাজ, কূটনীতিক, বিরোধী দল-মতের প্রতিনিধি, সরকারের চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। 

এসব বৈঠকে সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া সব বৈঠকেই তার ফোকাস ছিল বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার এবং রাজনীতিতে যে ঘাটতি রয়েছে তা দূর করতে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে গেছেন।

মিশেল ব্যাচেলেট সুপারিশ করেন, গুমসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের ব্যাপারে স্বাধীন ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করা প্রয়োজন। এছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশে জাতীয় সংলাপ আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, জাতিসংঘের পরামর্শ মেনে চলা নৈতিক দায়িত্ব। 

তিনি বলেন, জাতিসংঘে যেসব সিদ্ধান্ত এবং কার্যবিধি নির্ণয় হয় তা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মতিক্রমেই হয়ে থাকে। সেটা মান্য না করা কথা না রাখার শামিল। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেই স্বাধীনভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করার কথা। অতএব মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। জাতীয় পর্যায়ে যে কোনো সমস্যা সমাধানে বা সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপায়। একটি গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য সেটা বাঞ্ছিত শর্তও বটে।

আর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ একটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছি। এটা আমরা জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেটকে অবহিত করেছি।

মিশেলের সাথে বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশন থেকে আমরা যে কাজগুলো করেছি তার ব্রিফিংটা আমরা তাকে দিয়েছি। এটা তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। আমরা যে কাজগুলো করেছি তার একটা কম্প্রিহেনসিভ রিপোর্ট আমরা দিয়েছি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের উল্লেখ করেন নাছিমা বেগম। তিনি বলেন, এক রকম নাম হওয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেককে গ্রেফতার করেছে। জেল খাটছে দুই মাস, তিন মাস, ১০ দিন, ১৫ দিন। সে আটক থাকবে কেন। একজন নির্দোষ লোক তো আটক থাকবে না।

এক্ষেত্রে আমরা জননিরাপত্তা বিভাগকে গাইডলাইন দিয়েছি, তারা যাতে এনআইডি চেক করে। আর যারা আটক রয়েছে তাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। ফলে তাদের কেসভেদে ভিন্ন ভিন্ন আর্থিক সহায়তা দিতে বলি। আমরা সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করছি।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, মিশেল মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছেন। আমরা বলেছি, সব অপরাধে মৃত্যুদণ্ড নয়। ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বাংলাদেশে একটা দাবি উঠেছিল। অ্যাসিড-সন্ত্রাস যখন হচ্ছিল তখন মৃত্যুদণ্ড জারি করার পর কিছুটা কমে এসেছে। এই কারণে অপরাধ দমনের জন্য এই শাস্তি জারি করা হয়েছে। তারা মৃত্যুদণ্ডের বদলে যাবজ্জীবন সাজাকে সমর্থন করেন।

বিভি/এনএম

মন্তব্য করুন: