• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

সুন্দরবনে জলোচ্ছ্বাসে ডুবেছে মিষ্টি পানির ৫ পুকুর, দুটি হরিণের মরদেহ উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৪:১২, ৩১ মে ২০২৫

আপডেট: ১৪:১৩, ৩১ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
সুন্দরবনে জলোচ্ছ্বাসে ডুবেছে মিষ্টি পানির ৫ পুকুর, দুটি হরিণের মরদেহ উদ্ধার

এভাবেই মরে পড়েছিল হরিণটি।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে বনের অভ্যন্তরে করমজল, সুপতি, ভোলা, কটকা, দুবলা এলাকায় ৫টি মিষ্টি পানির পুকুরে লবণ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে ওই এলাকায় বন্যপ্রাণীদের মিঠা পানির উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। 

এছাড়া বনের শ্যালার চর এলাকা থেকে ভেসে যাওয়া একটি হরিণ শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দুবলার চড় এলাকা থেকে দুটি হরিণের মরদেহ উদ্ধার করেছে বনরক্ষীরা। বুধবার (২৮ মে) রাত থেকে শুক্রবার (৩০ মে) সকাল পর্যন্ত বাগেরহাটে নিরবিচ্ছিন্ন বৃষ্টি ও মাঝারি ধরণের ঝড়ো হাওয়ার ফলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় শক্তির ফলে এবার আমাদের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ৫টি পুকুরে লবন পানি নিমজ্জিত হয়েচে। যার ফলে বন্য প্রাণিদের পানি খাওয়ায় সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়া পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া অবস্থায় আমরা একটি হরিণ শাবক উদ্ধার করেছি। দুবলার চর এলাকা থেকে দুটি মৃত হরিণ উদ্ধার করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। ধারণা করছি, লবণ পানি খেয়ে হরিণ দুটির মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লবণ পানিতে নিমজ্জিত হওয়া পুকুরগুলোর পানি বন্যপ্রাণি ছাড়াও বন বিভাগের ষ্টাফরা ব্যবহার করেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে বৃষ্টিতে পুকুরের পানি মিষ্টি না হলে সেচের মাধ্যমে মিষ্টি পানি সরবরাহ করা হবে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।

এদিকে বলেশ্বর ও ভোলা নদীর পানিতে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের মূল বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের খুড়িয়াখালী-বগী ভারাণী খালের পাশের রিং বাঁধের দুটি স্থানের ১০০ ফুট ভেঙে গেছে। ভাঙা বাঁধ দিয়ে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়।

এভাবে পানির নিচে নিমজ্জিত সুন্দরবনের করমজল।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, জলোচ্ছ্বাসের জোয়ারের পানির চাপে খুড়িয়াখালী গ্রামের চুন্নু ফকিরের বাড়ির সামনে থেকে ৬০ ফুট এবং শাহজাহান মোল্লার বাড়ির সামনে থেকে ৪০ ফুট বাঁধ ভেঙে যায়। ভাঙন থেকে দিনে জোয়ারে পানি ঢুকে শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। দুর্যোগ কেটে গেলে সরকারি বরাদ্দ থেকে ভেঙে যাওয়া অংশ মরামতের ব্যবস্থা করা হবে।

তবে এবারের ঝড়ে বাগেরহাটে বসত বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আমরা খোঁজ নিয়েছি। এবার জেলায় কোন বসত ঘরের ক্ষতি হয়নি।

মৎস্য ঘেরেরও কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: