• NEWS PORTAL

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

বিপন্ন প্রজাতির দু’টি ভালুক শাবক উদ্ধার

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ২১ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
বিপন্ন প্রজাতির দু’টি ভালুক শাবক উদ্ধার

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌরসভা এলাকা থেকে দুটি বিপন্ন প্রজাতির ভালুক শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচারচক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও কক্সবাজার জেলা ডিবির বিশেষ অভিযানে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) দিনগত রাতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌরসভাধীন দিগর পানখালী এলাকা থেকে এ দুটি মহাবিপন্ন প্রজাতির ভালুক শাবক উদ্ধার করা হয়। 

কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌরসভাধীন দিগর পানখালী গ্রামের দীপক দাস (৩২), পিতা- মৃত সোনারাম দাস দীর্ঘদিন ধরে আমদানি নিষিদ্ধ বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী পাচারের সঙ্গে জড়িত। ইতিপূর্বে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের আটকের সূত্রধরে দীপক দাসের সম্পৃক্ততা তথ্য পাওয়া যায়। দীঘদিন গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে গোপন অনুসন্ধানে জানা যায় সম্প্রতি দীপক দাস দুটি বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী অবৈধভাবে চোরাইপথে বান্দরবানের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে নিয়ে এসে পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখেছে।

সুনির্দিষ্ট প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া পৌরসভাধীন দিগর পানখালী গ্রামে দীপক নামের বাড়িতে অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ অভিযানের পর বিপন্ন প্রজাতির দু’টি ভালুক শাবক উদ্ধার করা হয় ও আমদানি নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে দীপক দাসকে গ্রেফতার করা হয়। 

আটককৃত দীপক দাসকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় দীপক দাস একজন আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচার চক্রের সদস্য। সে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্যপ্রাণী পাচারের সাথে জড়িত। সে বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংগ্রহ করে নিয়ে এসে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রাখে। কিছু দিন হেফাজতে রাখার পর পাচারকারী চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। তারা সাতক্ষীরা ও যশোরের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে চোরাইপথে পার্শ্ববর্তী দেশে আমদানি নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী পাচার করে দেয়। গ্রেফতারকৃত দীপক দাসকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় এই পাচারকারী চক্র সম্প্রতি আরো দুটি তালুক, দুটি উলুক ও ছয়টি লজ্জাবতী বানর পাচার করেছিল।

গ্রেফতাকৃত আসামি দীপক দাসের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় মামলা রুজু হয়েছে এবং অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। উদ্ধারকৃত ভাল্লুকগুলোকে ডুলাহাজরা শেখ মুজিব সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধানে রাখা হবে। 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: