যৌন হয়রানির অপপ্রচার
শিল্পকলায় নারী কর্মকর্তাদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও ২ দফা দাবি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নারী কর্মকর্তা ও শিল্পীরা ২ দফা দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। নারী সহকর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদ ও ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
‘শিল্পী-সহকর্মী এক হও, অপপ্রচার রুখে দাও’ এই স্লোগানে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির সামনে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মরত নারী সহকর্মীদের বিরুদ্ধে সকল মানহানিকর ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ২ দফা দাবি উপস্থাপন করেন তারা—
১. বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মরত নারী শিল্পী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হয়রানির উদ্দেশ্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে প্রচারিত সকল মানহানিকর ভিত্তিহীন সংবাদ অবিলম্বে প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
২. বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মরত শিল্পী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শোষণ ও নিপীড়নমূলক সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ও কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস রিলিজে নারী শিল্পী ও কর্মকর্তারা বলেন, ‘আপনারা অবগত আছেন, আমরা সমগ্র বাংলাদেশের শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মরত নারীরা হয়রানিমূলক অপপ্রচারের শিকার হয়ে নানা ধরনের হয়রানির মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছি। ‘অদৃশ্য একটি ঘুষখোর সিন্ডিকেট’ তাদের ব্যক্তিগত প্রার্থীদের চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়ে যে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছিল, তার ভুক্তভোগী হয়ে আজ আমাদের এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। ঘুষ কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে তারা একটি নীল নকশা তৈরি করে। সে নকশা অনুযায়ী দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের সহায়তা নিয়ে ও চাকরি দিতে না পারা প্রার্থীদের উসকানি দিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া ও প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ করানো হয় এবং আমাদেরকে বিভিন্ন সময়ে নানানভাবে হয়রানি করা হয়।’
তাতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান সরকার দেশ সংস্কারের কাজ শুরু করার পর থেকে সিন্ডিকেটটি আবারও নতুন নেটওয়ার্কে সক্রিয় হয়ে ওঠার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং নতুন এজেন্ডা বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছে। নতুন এজেন্ডা অনুযায়ী তারা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে কর্মরত নারীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অপপ্রচার চালানোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র শুরু করে।’
শেষদিকে বলা হয়েছে, হয়রানিমূলক মিথ্যা সংবাদ প্রচারের পর থেকে আমরা পারিবারিক ও সামাজিকভাবে অনাকাঙ্খিত হেনস্থার শিকার হচ্ছি এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: