• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জাবিতে পথকুকুর বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি ডিইএসসিএফ-এর

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ১৩ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
জাবিতে পথকুকুর বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি ডিইএসসিএফ-এর

কুকুরের সঙ্গে মানুষের নির্মম আচরণ কিংবা কুকুরের ভয়ে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত চলাচলের অনভিপ্রেত পরিস্থিতিতে মানুষ ও কুকুরের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে ‘ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন’ (ডিইএসসিএফ) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

শনিবার (১২ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী এই কর্মসূচি শুরু হয়।

ডিইএসসিএফ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১২ ও ১৩ মে স্ত্রী ও পুরুষ কুকুরের বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

আয়োজনটির অর্থায়নে সহযোগিতা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এ. মামুন, মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক শামসুন নাহার, নাটক ও নাট্যতত্ত্বের সহকারী অধ্যাপক মহিবুর রৌফ শৈবালসহ ক্যাম্পাসের শিক্ষকরা।

এতে মূল সার্জিক্যাল দলে আছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত প্রাণিচিকিৎসক ড. বায়েজিদ বোস্তামিসহ ৪ জন ভেটেরিনারি চিকিৎসক এবং ৪ জন ভেটেরিনারি অ্যাসিস্ট্যান্ট। তাছাড়া চিকিৎসক হিসেবে বিডি পেট কেয়ার ও পেট হ্যাভেন ভেটেনারি ক্লিনিকের চিকিৎসকগণ কাজ করেছেন।

দুই দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইন সম্পর্কে ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজার্ভেশন ফাউন্ডেশন (ডিইএসসিএফ) এর প্রতিষ্ঠাতা মাহফুজুর রহমান, ‘ক্যাম্পাস ও আশপাশের কিছু অঞ্চলের কুকুর নির্দিষ্ট অনুপাতে বন্ধ্যাকরণের মধ্য দিয়ে মানুষের সঙ্গে এদের সংঘাত অনেকখানি কমে আসবে। একইসঙ্গে একাধিকবার সন্তানদানের জটিলতায় কুকুরের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার হার, বংশবিস্তারে এদের সীমানা নির্ধারণের লড়াইয়ে আহত হওয়া এবং কুকুরের প্রতি মানুষের অমানবিকতা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।’

উল্লেখ্য, দুইদিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন ৪টি এলাকায় মোট ৭০টি কুকুরের বন্ধ্যাকরণ করা হয়। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে ডিপ ইকোলজি স্বেচ্ছাসেবীরা ও জাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: