• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

৬ বছর সংসার করার পর জানতে পারলেন তারা ভাই-বোন!

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ১৮ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
৬ বছর সংসার করার পর জানতে পারলেন তারা ভাই-বোন!

প্রতীকী ছবি

ছয় বছরের সংসার। বেশ সুখেই কাটছিল বিবাহিত জীবন। দম্পতির জীবনে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তানও। কিন্তু আচমকাই স্ত্রীর অসুখের পর যুবকের জীবনে ঝড় নেমে আসে। শুধু স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য নয়, সামনে আসে তাদের আসল সম্পর্ক। দীর্ঘ বৈবাহিক জীবন কাটানোর পর ওই ব্যক্তি জানতে পারলেন তার স্ত্রী নাকি রক্তের সম্পর্কের বোন। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও সম্প্রতি এমনই খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা ঘিরে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে।

এতদিন সংসার করছিলেন যার সঙ্গে কীভাবেই বা তিনি বোন হলেন? নিজের জীবনের এত বড় রহস্যের কথা নিজেই জানিয়েছেন ওই যুবক। আসলে ছেলের জন্মের পর আচমকাই ওই ব্যক্তির স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিডনির অসুখে ভুগছিলেন ওই মহিলা। এরপর বেশ কিছুদিন চলে বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি। শেষে মহিলার কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

কিডনি ডোনারের জন্য এরপর ওই যুবক দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। কিন্তু অনেক খুঁজেও কোনো সন্ধান না পাওয়ায় স্ত্রীকে তিনি নিজেই কিডনি দেবেন ঠিক করেন। সেই অনুযায়ী তিনি কিডনি দিতে পারবেন কি না-তা জানতে শুরু হয় একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

চিকিৎসকেরা জানান যে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে কিডনি দিতে সক্ষম। একইসঙ্গে তাঁকে এইচএলএ (হিউম্যান লিউকোসাইট অ্যান্টিজেন) পরীক্ষা করতে বলেন। আর সেই পরীক্ষাতেও তার স্ত্রীর সঙ্গে মিল খুঁজে পান চিকিৎসকেরা। এরপরই সামনে এসে জীবনের সেই সত্যি। যা জানতে পেরে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই চমকে যান। এমন পরিস্থিতিতে ঠিক কী করা উচিত তা তারা বুঝে উঠতে পারছিলেন না।

কিন্তু এমন ঘটনা কীভাবে সম্ভব? আসলে জন্মের পরই ওই ব্যক্তিকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। তাই নিজের আসল বাবা মা-র পরিচয় তিনি কখনও জানতেই পারেননি। তবে আসল বাবা-মায়ের অভাব তিনি কোনওদিনই বোধ করেননি। কিন্তু নিজের বৈবাহিক জীবনের এমন সত্যিও যে কখনও তাঁর সামনে আসতে পারে তা তিনি ভাবতেও পারেননি।

নেটদুনিয়ায় বিষয়টি সামনে আসায় বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ নেটিজেনই এত বছর একসঙ্গে থাকার পর এই ঘটনাকে এত গুরুত্ব না দেওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন। বরং ছেলের উপর যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে সেদিকে নজর দিতে বলেছেন নেটিজেনরা।

সূত্র: এই সময়

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: