সিরাজ সিকদার ও আাত্মমর্যাদাসম্পন্ন কমিউনিস্ট হওয়ার লড়াই

সিরাজ সিকদার
আজ ২রা জানুয়ারি পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টির স্রষ্টা বিপ্লবী কমরেড সিরাজ সিকদারের মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের এদিনে তাঁকে পুলিশ কাস্টডিতে গুলি করে হত্যা করে তৎকালীণ সরকারের পুলিশ।
ক্ষমতাসীন বুর্জোয়াদের সাত খুন মাফ! তাদের আইনে তারাই বিচার করে, ফাঁসি দেয়, আবার 'অপরাধ' প্রমাণ করতে পারবে না জানলে 'ক্রসফায়ার' 'এনকাউন্টারে' হত্যা করে। বুর্জোয়া ক্ষমতা এমনই এক পাশবিকতা যার হাতে ক্ষমতাবহির্ভূত সকলেই ভিক্টিম।
যারা সিরাজ সিকদারের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল লাইনের বিরোধীতা করেন তারাও সিরাজ শিকদার স্মরণ মঞ্চ আলোকিত করছেন আজকাল! কিছু মানুষ আছেন যারা ঈশ্বরেও আছেন, জিরাফেও আছেন! এমনও লোক আছেন যিনি একই সময়ে একটি মাওপন্থী দলের সহসভাপতি, পাশাপাশি এন্টি মাও আরেকটি দলেরও কেন্দ্রীয় নেতা! এদের এইসব বিচ্যুতির কারণে জনযুদ্ধের লড়াইও দানাবেঁধে উঠছে না।
বিপ্লবের জন্য পার্টি গঠন, কৃষক-শ্রমিকের নেতৃত্বে গণযুদ্ধে জয়ী হয়ে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের পাশাপাশি নিজেকে একজন আাত্মমর্যাদাসম্পন্ন কমিউনিস্ট হওয়ার লড়াইও জারি রাখতে হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্টদের নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই! এমনকি যারা এ বিষয়ে যথেষ্ট অবগত নন তারাও এক ফর্দ সমালোচনা করতে পেরে গর্বিত হন। তবে কিছু সমালোচনা কোনো কোনো আনপড় আত্মপ্রচারকামী কমিউনিস্টদের কারণেও তৈরি হয়।
আজ সিরাজ সিকদারের শহীদ দিবসে আত্মবলিদানকারী সকল কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের লাল সালাম।
(বাংলাভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার বাংলাভিশন নিবে না।)
মন্তব্য করুন: