হেলিকপ্টার নয়, সি-১৩০-জে বিমানে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা-শেখ রেহানা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়ায় জনরোষের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার শেষ এক ঘন্টা আসলে কেমন ছিল, নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত হয়ে পুরো ঘটনার বর্ণনা করেছেন বাংলা ভিশনের প্রতিবেদক মিরাজ হোসেন গাজী।
বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সামরিক হেলিকপ্টার থেকে নেমে কালো রংয়ের গাড়িতে উঠছেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তারাহুড়া করে হেলিকপ্টার থেকে গাড়িতে উঠার সময়ও তাদের সাথে ছিল স্পেশাল সিউরিটি ফোর্স-এসএসএফ সদস্যরা।
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে নয়, গণভবনেই পদত্যাগ পত্রে সই করেন। আর হেলিকপ্টারে নয় বিমান বাহিনীর একটি ট্রান্সপোর্ট উড়োজাহাজে দেশত্যাগ করেন।
প্রশ্ন উঠেছে হেলিকপ্টার থেকে নেমে গাড়ি উঠে কোথায় গেছেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা? কোথায় পদত্যাগ করেন তিনি? দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ও পরের বাস্তবতা কেমন ছিল?
শেখ হাসিনা পদত্যাগ পত্র সই করেন প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনেই। এসময় তিনি একটি ভিডিও বক্তব্য রেকর্ড করার সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু পস্থিতি এতোটাই উতপ্ত ছিল যে, শারিরীক নিরাপত্তার কথা বিবেচনার সেই সময় দেয়া হয়নি শেখ হাসিনাকে।
এরপর গণভবন থেকে তার ব্যবহৃদ সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে দ্রুত উঠে বসেন। সেই হেলিকপ্টারের গন্তব্য ছিল হযরত শাহজালাল আন্তজাতিক বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ঘাটির রানওয়েতে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি মূলত এই রানওয়ের। সামরিক হেলিকপ্টার থেকে নেমে কালো রংয়ের গাড়িতে উঠছেন দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
এসময় রানওয়েতে সবাই ছিল খুবই ব্যস্ত। তবে তাদের পরের গন্তব্য কোথায়, তা জানতেন না উপস্থিত কেউই। কালো গাড়িটিতে করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পাশের রানওয়েতে রাখা বিমানবাহিনীর ট্রান্সপোর্ট উড়োজাহাজ সি- ওয়ান থার্টি- জে।
এই উড়োজাহাজে করে দেশ ত্যাগের পর প্রথমে আগরতলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে যেতে চাইলেও অনুমতি দেয়া হয়নি। পরে নয়াদিল্লির দিকে রওনা দেয় উড়োজাহাজটি। সেখানে এয়ারফোর্সের একটি ঘাটিতে অবতরণ করে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বহনকারী উড়োজাহারটি। এখন সেখানে নিরাপদে গোপন একটি হাউসে রাখা হয়েছে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: