• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

‘স্বাধীনতার ঘোষকের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে সরকারের কর্মসূচি না থাকা দুঃখজনক’

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ৩১ মে ২০২৫

আপডেট: ১৭:৫৫, ১ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ
‘স্বাধীনতার ঘোষকের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে সরকারের কর্মসূচি না থাকা দুঃখজনক’

স্বাধীনতার ঘোষকের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বর্তমান সরকারের কোন বিবৃতি বা কর্মসূচি না থাকা দুঃখজনক ও নিন্দনীয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ। 

মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৪ দিন ব্যাপী কর্মসূচির ২য় দিনে শনিবার (৩১ মে) বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর-চাঁদপুরা ইউনিয়ন ও সিটি কর্পোরেশনের ০৩ ও ২৯ নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, বিনামুল্যে চক্ষু ক্যাম্প ও  সুবিধা বঞ্চিত মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঝে পবিত্র কুরআন শরীফ বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে এ কথা বলেন তিনি। 

এসময় তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজের জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে এই জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধ সফল করা সম্ভব ছিল না।

এমনকি ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পরে শেখ মুজিবের নিষিদ্ধ করা সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও মানুষের মৌলিক অধিকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। 

রহমাতুল্লাহ বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা ও জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া কোন একক রাজনৈতিক দলের পক্ষে ছিল না। অথচ এই দুটি বিষয়ে যার কারণে এ দেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে,  তার শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচি বা বিবৃতি না থাকা খুবই দুঃখজক ও নিন্দনীয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত ছিল স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চেতনার স্বার্থে শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা। 

তিনি আরও বলেন, কার স্বার্থে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক ও স্বাধীনতার ঘোষকের শাহাদাৎ বার্ষিকী  রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়নি, জাতি তা জানতে চায়। কারণ স্বাধীনতার ঘোষণা ও বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকে অবজ্ঞা করা মানেই হচ্ছে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাকে অবজ্ঞা করা।  

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারের কাছে দেশের জনগণ তা প্রত্যাশা করে না। 

বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের আবু আইয়াশ (রা.) নূরানী হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা এতিমখান ও লিল্লাহ বোর্ডিং এর মুহমতামিম মাওলানা সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে ও নগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ওবায়দুর ইসলাম উজ্জলের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক মিলন চৌধুরী, নগর স্বাধীনতা ফোরামের সদস্য সচিব নাজমুস সাকিব।  সিটি কর্পোরেশনের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তারিক সুলাইমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আলামিন হোসেন,  জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আসিফ আল মামুন,  ইলিয়াস আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাইয়ান ঈশতী,  ৩ নং ওয়ার্ডের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বিএনপি নেতা মো: বজলু খান, ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ছাত্র নেতা মো: রেজাউল করিম। 

২৯ নং ওয়ার্ডে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক সমিতি'র মহাসচিব আরিফুর রহমান তুহিনের সভাপতিত্বে অংশ নেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। 

চাঁদপুরা ইউনিয়নে সাবেক বিএনপি সভাপতি মনজুরুল আলম নাসিম খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুল হাসান রনি, আফজাল হোসেন তপু, আবুল খায়ের জলিল, ইব্রাহীম ঢালী, ফারুক হাসান প্রমুখ।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: