‘নির্ঘাত মৃত্যু জেনেও স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান’

ছবি: মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন ইশরাক হোসেন
শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন গ্রেফতার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় তখন রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছিলো। কেউ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ছিল না, সাহস করে কথা বলার মতো কেউ ছিলো না। তখন জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এটা সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করে।
রবিবার (১ জুন) রাজধানীর ওয়াইজঘাটে বায়তুন নাজাত জামে মসজিদে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে উক্ত মসজিদে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ঘাট শ্রমিক ও জাতীয়তাবাদী নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী দল।
বক্তব্যে ইশরাক হোসেন বলেন, জিয়াউর রহমান সেই সময় পূর্ব পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন- আই রিভোল্ট অর্থ্যাৎ আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহের শাস্তি নির্ঘাত মৃত্যুদণ্ড। তাছাড়া সে সময় তার পরিবার ক্যান্টনমেন্টে বন্দি অবস্থায় ছিলেন। এতোসব ঝুঁকি থাকার পরও তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাটি দিয়েছিলেন। এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শক্তি ছাড়া সবাই রাস্তায় নেমে এসেছিলো। সেখানে দলমতের কোনো বাছবিচার ছিলো না। কারণ সবাই দীর্ঘ ১৫ বছরের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে
চেয়েছিলো।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীরা ছাড়াও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: