সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিলো রাজনৈতিক দলগুলো

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আলোচনার এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, সবাই দুটি বিষয়ে একমত হয়েছে – আস্থা ভোট ও অর্থ বিল ছাড়া ৭০ অনুচ্ছেদে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে দলের বিপক্ষেও ভোট দিতে পারবেন।
সালাহউদ্দিন জানান, তার দলসহ আরও কয়েকটি দল আলোচনায় সংবিধান সংশোধনী বিলের বিষয়টিও উল্লেখ করেছে। জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় (যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো) থাকলে সংসদ সদস্যরা স্বাধীন থাকবেন না- এমন প্রস্তাব ছিল বিএনপির লিখিত প্রস্তাবে।
তবে কমিশনের সাথে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আস্থা ভোট ও অর্থ বিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত সনদে উল্লেখ থাকবে, যাতে সবাই স্বাক্ষর করবেন।
যদিও আজকের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেয়নি। তবে আগামীকাল দলটি বৈঠকে অংশ নেবে বলে জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
"আর বাকি দুটি বিষয় আলাদাভাবে বলা থাকবে যে এগুলো নির্বাচনি ইশতেহারে থাকবে এবং আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে আমরা তা সংযুক্ত করতে পারবো,” বলছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, সংসদের চারটি কমিটিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলো সংখ্যানুপাতে বিরোধী দল পাবে- এমন বিষয়েও সবাই একমত হয়েছে।
এছাড়া সংসদে নারীদের জন্য ১০০ আসনের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে, তবে তাদের নির্বাচন কীভাবে হবে সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি যদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন, তিনি যদি নিজ দল থেকে পদত্যাগ করেন, অথবা সংসদে নিজ দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তাহলে সংসদে তার আসনটি আসন শূন্য বলে বিবেচিত হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই এ বিধানটির সমালোচনা হচ্ছিলো এই বলে যে এর কারণে সংসদে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: