• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

‘বিগত ১৫ বছরে ভুয়া নির্বাচন আয়োজনকারী সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে’

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ২৯ জুন ২০২৫

আপডেট: ২৩:১৯, ২৯ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ
‘বিগত ১৫ বছরে ভুয়া নির্বাচন আয়োজনকারী সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে’

ছবি: বক্তব্য রাখছেন ড. আসাদুজ্জামান রিপন

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, শুধুমাত্র ২ জন নির্বাচন কমিশনারকে আইনের আওতায় আনলে হবে না। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভুয়া ভোটের  আয়োজনে জড়িত  ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ যারা জালভোট বাক্সে ভরে দিয়েছিলো এবং ওই সময় যারা দায়িত্বে ছিলো তাদের ও বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, যারা মানুষের ভোটের অধিকার হরন করেছিলো তাদের বিচার এবং চাকুরি থেকে বিদায়  না করলে আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন সম্বব হবে না। 

রবিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সাবেক দুইজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাবিবুল আউয়াল এবং নুরুল হুদা। তাদের অপরাধ হচ্ছে দিনের ভোট রাতে করা।  বাংলাদেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি এবং ভোটও দেয়নি। জাল  ভোট আয়োজনের মাধ্যমে ইভিএম কেনার নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে এবং মানুষকে ১৫ বছর তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো সেই সরকার নির্বাচিত সরকার ছিলো না। শেখ হাসিনা বলতো আমি নির্বাচিত সরকার, ওনি বলতো আমি নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ভোটের নামে জালভোট হয়েছে। অতএব ওনার সরকার ছিলো জাল ভোটের সরকার। এই জাল ভোটের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই নির্বাচন কমিশনারদের ভুমিকা ছিলো। 

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ফলাফলে এতো পার্সেন্ট ভোট হয়েছে, ওনি নির্বাচিত হয়েছে, এমন সার্টিফিকেট বা ফলাফলে যারা স্বাক্ষর দিয়েছিলো তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।  তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে তিনবারের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সকলকে পদোন্নতি না দিয়ে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। এসময় তিনি বলেন, আগে সমাজসেবীরা এলাকায় স্কুল, কলেজ এবং হাসপাতাল বানাতেন। নিজের বাড়ী রেখে সামাজিক কাজ করতেন। তাদের নিজের কোন কাজ ছিলোনা বলে দানবীর ব্যক্তিরা মানুষের জন্য কাজ করতেন। এখন রাজনীতিতে মানুষের কল্যাণে কাজ করার সংখ্যা কমে গেছে। এখন রাজনীতিতে নিজের পকেট ভরার লোক আর নিজের কোম্পানি বা ব্যবসা বড় করা এই জাতীয় লোকজন রাজনীতিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। 

১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. জয়নাল সিকদার এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান খান, বেজগাঁও ইউনিয়ের সাবেক চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ খানসহ স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে দোয়া মাহফিলে জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন: