• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ

প্রকাশিত: ১৯:৩৪, ২০ নভেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন আজ

বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্যাতিত-নিপীড়িত আর আপসহীন সংগ্রামী এক রাজনীতিবিদের নাম তারেক রহমান। আজ তার ৬১তম জন্মদিন। ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম সন্তান তিনি। দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে। তার হাত ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।

তারেক রহমান, একটি নাম, একটি সংগ্রাম। দেশ ও জাতির সংকটে অবিচল আস্থার প্রতিক। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু তাকে টলাতে পারেনি এক বিন্দুও। দেশের দুসময়েও জনগণের পাশে থেকেছেন অসীম সাহস আর মানবিকতা নিয়ে। বাবা বীর উত্তম জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার, প্রথম রাষ্ট্রপতি ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। আর মা, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আপোসহীন মজলুম নেত্রী, বেগম খালেদা জিয়া। বাবা-মায়ের বড় সন্তান হিসেবে খুব কাছ থেকে দেখেছেন পিতার জীবনের চ্যালেঞ্জের নানা দিক। বাবার মৃত্যুর পর মা বেগম খালেদা জিয়ার সান্নিধ্যে কাটে তার জীবন। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ, সেন্ট জোসেফ কলেজ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে। ১৯৮৪ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, লাভ করেন স্নাতক ডিগ্রি ।

জন্ম থেকেই তারেক রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রাম দেখেই বেড়ে উঠেছেন। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নিজ পিতার শহীদ হওয়া ও পরবর্তীতে মা বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রামী জীবন কাছ থেকে দেখেছেন তারেক রহমান। আদর্শ পিতা-মাতার আদলেই জীবনকে সপে দিয়েছেন রাজনীতিতে। রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠলেও কখনোই নিজেকে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখেননি। নিজ উদ্যোগেই আশির দশকে বগুড়ার রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। 

১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেও ২০০১ সালে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে আগমন ঘটে তার। এরপর দেশব্যাপী দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন তারেক রহমান। 

বিএনপির একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে নিজের পরিচয় শুরু করলেও ২০০২ সালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবের দায়িত্ব পান তিনি। তার দল ক্ষমতায় থাকতেও দলের আদর্শ সমুন্নত রাখতে যোগ্যতা অনুযায়ী তার প্রাপ্তির চাইতে বেশি কোন পদপদবীর প্রতি কখনোই আগ্রহ দেখাননি।

দিনে দিনে দলের প্রতি ত্যাগ, দেশের প্রতি ভালোবাসার কারণেই এখন তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

তারেক রহমান সব সময়ই দলকে সংগঠিত করতে এবং দেশ ও জাতির প্রয়োজনে কাজ করে যাচ্ছেন। শহীদ জিয়ার আদর্শের আলোকবর্তিকা হাতে এগিয়ে যাচ্ছেন অদম্য গতিতে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের কথা চিন্তা করে দেশের তৃণমূল পর্যন্ত, গ্রামগঞ্জ, ইউনিয়ন, শহর, অলিতে গলিতে বিচরণ করেন এবং প্রতিনিধি সম্মেলনের মাধ্যমে মানুষের মনিকোঠায় স্থান করে নেন। বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তিনিই কাজ করেছেন নিরলসভাবে। 

২০০৭ সালে রাজনীতিতে দেখা দেয় কালো মেঘ। দুর্যোগে পড়ে বিএনপি, গ্রেফতার হন তারেক রহমান। রিমান্ডের নামে চলে অবর্ণনীয় নির্যাতন। প্রায় ১৮ মাস কারাবন্দী থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জামিন পেয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। 

প্রবাসে থেকেই তার মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা, সুযোগ্য নেতৃত্ব, দূরদর্শী রাজনৈতিক চিন্তা বিএনপিকে করেছে শক্তিশালী, সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ।

তার বক্তব্য প্রচারে দেশের আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঘরোয়া পরিবেশেই তিনি দল পরিচালনায় নির্দেশ-নির্দেশনা দিতেন। অবশেষে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে প্রথমবারের মত ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন তারেক রহমান।

শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনকালে কৌশলে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের পরিচালনা করেন, ছাত্রদের আন্দোলনে সর্বাত্মক সহযোগিতার নির্দেশ দেন তিনি। শেখ হাসিনার পতনের পর দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তার কঠোর অবস্থানে দীর্ঘদিন নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার বিএনপি নেতা-কর্মীরা সংযত আচরণ করেন।

একটি বৈষম্যহীন আধুনিক রাষ্ট্রের পাশাপাশি আত্মমর্যাদার একটি সুখি, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন তারুণ প্রজম্মের এই স্বপ্নবাজ নেতা।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন: