খালেদা জিয়ার মতো নেত্রী হাজার বছরেও একজন আসবে না: ইশরাক হোসেন
বিএনপি মনোনীত ঢাকা-৬ আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, “বেগম খালেদা জিয়ার মতো নেত্রী হাজার বছরে একজন আসে কী না এ নিয়েই আমার গভীর সন্দেহ আছে।”
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধূপখোলা গেন্ডারিয়া কমিউনিটি সেন্টারে ইশরাক হোসেনের আয়োজনে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া-এর আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, “একজন সাধারণ গৃহবধূ থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন এবং মানুষের ভালোবাসায় তিনবার কাজটা ক্ষমতায় আসা, এমন নজির বিরল। বহু নেতা এসেছেন, ভবিষ্যতেও আসবেন; কিন্তু খালেদা জিয়ার মতো আপসহীন, সাহসী ও দেশপ্রেমিক নেত্রী ইতিহাসে খুব কমই দেখা যায়।”
তিনি বলেন, “গত কয়েক দিন আমাদের জন্য ছিল অত্যন্ত কষ্টের। দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন, যা সারা বিশ্বকে উদ্বিগ্ন করেছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা জানতে পেরেছি তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমরা সকলে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।”
খালেদা জিয়ার কারাবন্দি জীবনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “৭৬ বছর বয়সে লিভার সিরোসিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত অবস্থায়ও তাঁকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন সরকার আপসের প্রস্তাব দিয়েছিল—নির্বাচনে অংশ নিলে মামলা তুলে নেওয়া হবে, চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি এক সেকেন্ডের জন্যও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের ভোটাধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনো আপস করেননি। ভবিষ্যতে তাঁকে নিয়ে গবেষণা হবে, ইতিহাস লেখা হবে এটাই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”
ইশরাক হোসেন বলেন, “আজ খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী নন, তিনি বিশ্বনেতাদেরও শ্রদ্ধার মানুষ। এমনকি যারা তাঁকে কারাগারে পাঠানোর পেছনে ভূমিকা রেখেছিলেন, তারাও আজ তাঁর সুস্থতা কামনা করছেন। এটি তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রামেরই ফল।”
তিনি দাবি করেন, “যদি দেশনেত্রী এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ভিত্তি রচনা না করতেন , তাহলে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান সম্ভব হতো না। তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে আমার মনে হয় ১০০ বছরেও সরানো যেত না। তাঁর পুত্র তারেক রহমান-এর নেতৃত্বে সেই আন্দোলন সফলভাবে এগিয়ে যায়।”
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ, জিন্টু আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আব্দুস সাত্তার, সাইদুর রহমান মিন্টু, মকবুল ইসলাম খান টিপু, মোঃ ফরিদ উদ্দিন, মোঃ শরিফ হোসেন সহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, কৃষক দলের মহানগর, থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দোয়া মাহফিলে মোনাজাত করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: