হাসপাতালে ভিন্ন ভিন্ন স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের অভিযোগ ইশরাকের
সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মনোনীত ঢাকা ৬ আসনের প্রার্থী ইশরাক হোসেন অভিযোগ করেছেন, আহত ওসমান হাদিকে দেখতে হাসপাতালে গেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের উপস্থিতিতে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়া হয়, অথচ জামায়াতের আমির গেলে নাড়াই তকবির স্লোগান শোনা যায়। তার মতে, এই ঘটনা রাজনৈতিক বিভাজন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ডেরই ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, এই কথাগুলো আমি বলছি না ইনকিলাব মঞ্চের একজন নেতা এই কথাগুলো বলেছেন।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ইশরাক হোসেন বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী ও পুরো প্রশাসন এতদিন কী করল? তাদের কাছে কি তথ্য নেই? নাকি প্রশাসনের ভেতরে কেউ কেউ এখনো এদের সহযোগিতা করছে? শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা পালিয়ে গেলেও প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরে তাদের মাফিয়া সহযোগীরা রয়ে গেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসন ও আমলাতন্ত্র সংস্কারে সরকার কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি, যার প্রতিফলন বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে। তবে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরকারের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ সুগম করতে বিএনপি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, “কোনো অপমানজনক কর্মকাণ্ড হলে আমরা সেটাকে দলের ওপর আঘাত হিসেবেই দেখি। যারা বিভ্রান্তিকর ও নোংরা রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের সংযত হওয়া উচিত। আবেগে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের মূল শত্রু হিসেবে আওয়ামী লীগকেই চিহ্নিত করেছে। “এই শক্তিই দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে আবারও ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে। তা মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
সাম্প্রতিক ঘটনাবলির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আহত হাদীকে দেখতে হাসপাতালে গেলে সেখানে অশালীন স্লোগান দেওয়া হয়, অথচ জামায়াতের আমির গেলে ভিন্ন স্লোগান শোনা যায়—যা রাজনৈতিক বিভাজন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কর্মকাণ্ডের ইঙ্গিত দেয়।
তিনি আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া বিভিন্ন অডিও বার্তায় সরাসরি হত্যার নির্দেশের প্রমাণ রয়েছে এবং এতে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট। “আওয়ামী লীগের প্রশিক্ষিত ইউনিট মাঠে নামানো হচ্ছে। পাশাপাশি জামায়াতের কিছু নেতা নোংরা রাজনীতিতে লিপ্ত—তাদের সংযত রাখার দায়িত্ব জামায়াত নেতাদেরই নিতে হবে বলেন তিনি।
ইশরাক হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগ কখনোই নিজেদের বাদ দিয়ে নির্বাচন হতে দেবে না। তাই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। বিভিন্ন প্রার্থীকে টার্গেট করা হচ্ছে, কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না।
হাদীর ওপর হামলার ঘটনায় সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, হাদী আগে থেকেই সামাজিক মাধ্যমে হুমকির কথা জানালেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় তৎপরতা দেখায়নি।
শেষে তিনি বলেন, এই ঘটনার পর ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করব। দেশের সব প্রার্থী ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তার পূর্ণ দায়িত্ব সরকারের ওপর।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: