• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

গায়ে আগুন দেয়া সেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লাইফ সাপোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:১৭, ৫ জুলাই ২০২২

আপডেট: ০২:৩০, ৫ জুলাই ২০২২

ফন্ট সাইজ
গায়ে আগুন দেয়া সেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা লাইফ সাপোর্টে

গাজী আনিস

নিজের গায়ে আগুন দেয়া কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আনিসুর রহমানের (গাজী আনিস) অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। 

এর আগে সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গাজী আনিস নামে সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আনিসের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইন্সটিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

দগ্ধ আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, তাদের বাবার নাম মৃত ইব্রাহীম হোসেন বিশ্বাস। ৯১-৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তার স্ত্রী স্বপ্না যশোরে থাকেন। তিনি তিন কন্যা সন্তানের পিতা। তাদের বিয়ে হয়েছে। কুষ্টিয়ায় পানির ব্যবসার পাশাপাশি তিনি হেনোলাক্স গ্রুপের সঙ্গেও ব্যবসা করতেন।  

গাজী আনিস গ্রামীণ ব্যাংকের কুষ্টিয়া জেলা শাখার জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে ব্যক্তিগত কারণে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা অফিস থেকে অবসরে যান।  

গত ৩১ মে নিজের ফেসবুক পেইজে ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দেয়া এক খোলা চিঠিতে গাজী আনিস উল্লেখ্য করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “২০১৬ সালে হেনোলাক্স গ্রুপের কর্নধার মোঃ নুরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের সাথে  সখ্যতা এবং আন্তরিকতা গড়ে উঠে।  

গায়ে আগুন দেওয়ার পর গাজী আনিসের দগ্ধ দেহ২০১৮ সালে কলকাতা হোটেল বালাজীতে একইসঙ্গে থাকারকালে হেনোলাক্স গ্রুপের কর্নধার মো. নুরুল আমিন এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আমিন আমাকে হেনোলাক্স গ্রুপে বিনিয়োগের এবং যথেষ্ট লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে বলে জানান। প্রথমে অসন্মতি জানালেও পরবর্তীতে রাজি হয়ে প্রাথমিকভাবে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। এসব টাকার অধিকাংশ ঋণ হিসেবে আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবের কাছ থেকে নেয়া। বিনিয়োগ করার সময় পরস্পরের প্রতি সম্মান এবং বিশ্বাসের কারণে এবং তাদের অনুরোধে চুড়ান্ত রেজিস্ট্রি চুক্তি করা হয়নি। তবে প্রাথমিক চুক্তি করা হয়েছে। বিনিয়োগ পরবর্তী চুড়ান্ত রেজিস্ট্রি চুক্তিপত্র সম্পাদনের জন্য বারবার অনুরোধ করি কিন্তু উনারা গড়িমসি করতে থাকেন। একপর্যায়ে উনারা প্রতিমাসে যে লভ্যাংশ প্রদান করতেন সেটাও বন্ধ করে দেন এবং কয়েকবার উনাদের লোকজন দ্বারা আমাকে হেনস্তা ব্ল্যাকমেইল করেন এবং করার চেষ্টা করেন। বর্তমানে লভ্যাংশ'সহ আমার ন্যায্য পাওনা তিন কোটি টাকার অধিক।

এ-বিষয়ে কুষ্টিয়া আমলী আদালতে আমি উনাদের আসামি করে দুইটি মামলা দায়ের করেছি যা বিচারাধীন রয়েছে এবং গত ২৯/০৫/২০২২ তারিখ জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করি এবং যাবতীয় ডকুমেন্টস সম্মানিত সাংবাদিকদের নিকট উপস্থাপন করি।” 

এরপর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গাজী আনিস দাবি করেন গত ছয় বছরে তারা আমাকে ৭৪ লাখ টাকা লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছে। যদিও কোম্পানিটি থেকে ২০২০ লভ্যাংশসহ তাকে তিন কোটি টাকা দেওয়ার চুক্তি হয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন গাজী আনিস।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2