মানুষের মন থেকে ‘ছাত্রলীগ আতঙ্ক’ দূর করার পরামর্শ ইনানের মায়ের
গতকাল মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ঘোষণা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে সাদ্দাম হোসাইনকে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে।
ইনানের বাড়ি বরিশাল মহানগরীর জর্ডন রোডে। সেখানে গিয়ে কথা হয় তার মায়ের সঙ্গে। বাংলাভিশনের সঙ্গে একান্ত আলোচনায় ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে জায়াগা পাওয়া ছেলের প্রতি নিজের নানান প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন মা হাসিনা বেগম। এ সময় তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে নিয়ে মানুষের মনে বাসা বাধা আতঙ্কগুলো দূর করে সংগঠনকে তার ছেলে জনগণের বন্ধু সংগঠনে রূপ দিবে এটাই প্রধান চাওয়া।
ইনানের জন্ম ১৯৯৪ সালের নভেম্বরে। তার বাবা শেখ আব্দুর রব ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় নেতা। তিনি স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে (১৯৬৯-৭০) বৃহত্তর বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। বাবার পথ ধরে তার রেখে যাওয়া সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে এসেছেন সন্তান। এটি নিয়ে বেশ গর্বিত মা হাসিনা বেগম।
তিনি জানান, ইনান যখন এসএসসি পরীক্ষার্থী তখনই তার বাবা মারা যান। বরিশাল নগরীর যে বাড়িটিতে তারা থাকেন নিজেদের সব জমানো টাকা ও গয়না বিক্রি করে সেটি তৈরি করা হয়েছে। গত বছর পর্যন্ত শোধ করতে হয়েছে ব্যাংকের ঋণ। এ সময়ে বাবার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এবং বাড়িভাড়ার টাকা দিয়ে কোনোমতে পরিবার চলার পাশাপাশি পড়াশোনার যোগান হয়েছে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের। তবে তিনি মেধাবী হওয়ায় পড়াশোনায় খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।
ছেলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার অনুভূতি জানতে চাইলে মা হাসিনা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে ছাত্রলীগের বড় নেতা হয়েছে অবশ্যই খুশির খবর। কিন্তু পদ পাওয়া বড় কথা না। পদ ধরে রাখাটা বড় বিষয়। যত চাপই আসুক পদ ধরে রাখতে হবে এবং শক্তভাবে ধর্যের সাথে ধরে রাখতে হবে। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। যত কিছুই ঝামেলা হোক এগিয়ে যেতে হবে এবং সেটা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হবে।’
ছেলেকে পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগকে নিয়ে মানুষের মধ্যে যে আতঙ্কটা আছে সেটা যেন না থাকে। ছাত্রলীগ যেন বন্ধুর মতো হয়ে মানুষের পাশে থাকে সেটা আমি চাই।’
নৈতিকতা ধরে রেখে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি হলেও সেটি নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে এই মা বলেন, ‘তাতে যত ঝামেলা হোক কোনোমতে পিছপা হওয়া যাবে না। ন্যায়ের পথে থাকতে যদি বড় ক্ষতি হয়েও যায় তাও মেনে নিতে আপত্তি নেই। কিন্তু অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না।’
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: