ছাত্রদল নেতা জনি হত্যা: ১৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
নিহত মো. নুরুজ্জামান জনি। ফাইল ছবি
পুলিশ হেফাজতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা মো. নুরুজ্জামান জনির মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা মো. ইয়াকুব মামলা দায়ের করেছেন। ২০১৫ সালের ওই ঘটনায় নিহত জনি তৎকালীন খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জনিকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে সাবেক ঢাকা মেট্রোপলিটন কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ১৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে জনির বাবা মো. ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫(২) ধারায় এ আবেদন করেন।
বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দিবেন বলে জানান আদালত। বাদীর আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিবি রমনা জোনের এসআই দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এস এম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এসআই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গির হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, মো. লুৎফর রহমান, ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন।
২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন। এর আগে পুলিশ জনিকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার প্রায় ৮ বছর পর এ মামলার আবেদন করা হয়।
বিভি/এসএম/এজেড
মন্তব্য করুন: