• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

আবারও বলছি, পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:২৭, ৮ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
আবারও বলছি, পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না: মির্জা ফখরুল

বার বার একই কথা বলছি, আবারও বলছি, পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বুধবার (৮ মার্চ) বিকেলে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৭তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি খুব সুস্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নাই। এরা সহজে যায় না, এদেরকে ধাক্কা মারতে হয়। আপনাদের অনেকে ‘‘হীরক রাজার দেশে’’ ছবিটা দেখেছেন না? ছবিতে কী বলছে- ‘‘দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান’’। সুতরাং দড়ি ধরে টান মারার সময় এসেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব তিনি আমাদেরকে খুব পরিস্কার করে বলে দিয়েছেন যে, ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথেই আমরা আছি, রাজপথেই এর মীমাংসা আমরা করব ইনশাল্লাহ। এখনো সময় আছে সরে যান’।

তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, কোনো কথা বলে লাভ হবে না। এখনো সময় আছে, আমরা যে ১০ দফা দিয়েছি, সেই ১০ দফা মেনে নিন। পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। এটাই শেষ সময়, এটা মেনে নেন। তা নাহলে বার বার একই কথা বলছি, আবারও বলছি, পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই কথা বললে আপনাদের গায়ে লাগে। বলেন, কোথায় পালাব? পালিয়েছেন তো অতীতে। সব পালিয়েছেন। কেউ পাকিস্তানে পালিয়েছেন, কেউ ভারতে পালিয়েছেন ১৯৭১ সালে। এবার কিন্তু সেই পথও খুঁজে পাবেন না। আবারও বলছি, দয়া করে পরিবর্তন নিয়ে আসুন। এই সংকট উত্তরণ করুন। নইলে কোথাও পালাবার পথ পাবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আজকে তারেক রহমানের ১৭তম কারাবন্দি দিবস। এই কারাবন্দি দিবস তখনই আমাদের সফল হবে যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করে জনগণের সরকার, জনগণের একটা দেশ, মুক্ত একটা সমাজ, গণতান্ত্রিক সমাজ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করতে পারব, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব- তাহলেই হবে সফলতা। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাই।’

রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশন মিলনায়তনে বক্তব্য দিয়ে ফেরার পথে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি অবিলম্বে মোনায়েম মুন্নাকে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। রুহুল কবির রিজভীসহ আটক নেতাদের মুক্তি দাবি করছি। এভাবে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা, আটক করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় জনগণ এর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, এর জবাব আপনাদেরকে দেওয়া হবে।’

পঞ্চগড়ের ঘটনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পঞ্চগড়ের হামলার ঘটনায় আমাদের জড়ানোর জন্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন যে, ‘‘বিএনপিও জড়িত আছে’’। আমাদের প্রায় ১৫০ মানুষকে সেখানে গ্রেপ্তার করেছে। এখন পঞ্চগড় থেকে মানুষ বাইরে চলে যাচ্ছে। এর উদ্দেশ্যটা কী? উদ্দেশ্য একটাই আবার সেই ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে আবার সাম্প্রদায়িক ঘটনার জন্য দায়ী করে ‍উদোর-পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে চায়। কিন্তু এখন আর জনগণ তাদের সেই কথা শুনবে না, তাদের সেই মিথ্যা মন্তব্য শুনবে না। তারা খুব ভালো করে জানে যে, আওয়ামী লীগ চক্রান্তমূলকভাবে নিজেরাই এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে, তাদের লোকেরাই ঘটিয়েছে সেজন্য তারা উদোর-পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে চায়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইতোমধ্যে তাদের (সরকার) রেলমন্ত্রী সেখানে গিয়েছিলেন। রেলমন্ত্রী যখন সেখানে গেছেন তখন আহমদীয়া সম্প্রদায়ের লোকেদের জিজ্ঞাসা করেছেন এর জন্য দায়ী কে, কারা করেছে? তখন তারা বলেছেন, আপনার (মন্ত্রী) পাশে যারা যারা আছে তারাই এজন্য দায়ী, আওয়ামী লীগের লোকেরা করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান,আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানি, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের হেলেন জরিন খান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: