• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

সুপ্রিম কোর্টে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত কলঙ্কজনক: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ১৬ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
সুপ্রিম কোর্টে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত কলঙ্কজনক: মির্জা ফখরুল

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন নিয়ে যা ঘটেছে তা অত্যন্ত কলঙ্কজনক ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে যে নির্বাচন হয়, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটিকে সবাই সম্মানের চোখে দেখেন। কিন্তু বুধবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত কলঙ্কজনক ঘটনা। এটি প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। এখন মনে হয় যে সরকারও নেই। কারণ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী ব্যবস্থা তারা ভেঙে দিয়েছেন। এভাবে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ।

বিএনপি ঘোষিত ‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে; ২৭ দফা রূপরেখার গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

বিএনপি মহাসচিব আলোচনা সভায় আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কাজ হলো চুরি করা। তারা সব ক্ষেত্রে চুরি করে। তাদের চেয়ে বড় চোর বিশ্বে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখন তারা যমুনা নদী সংকুচিত করার প্রকল্পও নিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের ‘সংবিধান বিতর্ক’ বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, বাহাত্তর সালের সংবিধান প্রণয়নের আগে দুটো নির্বাচন হয়েছিল। একটি পাকিস্তান জাতীয় সংসদ ও আরেকটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। এরপর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যদের দিয়ে সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠন করা হয়েছিল। যারা দেশের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় রেখে সংবিধান রচনা করেছিলেন। যেখানে গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। কিন্তু তার কোনটা আজ আছে?’

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আর কথায় কথায় তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেন। তাঁর বাবা শেখ মুজিবুর রহমানও বলেছিলেন, গণতন্ত্রের কথা। তারা দেশের ভোট ও নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। যা শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ও হয়েছিল। তিনিও বাকশাল কায়েম করেছিলেন। 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে কষ্ট হয়, যখন দেখি কিছু বুদ্ধিজীবী এই নেত্রীকে সমর্থন করেন। তার অন্যায়গুলোকে সমর্থন করেন। আমরা এই বাংলাদেশ চাইনি। আজ দেশের মানুষ ভাত পায় না, চাল পায় না। একজন শ্রমিক তার ছেলেকে প্রোটিন হিসেবে ডিমও খাওয়াতে পারেন না।

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান আব্দুল করিম আব্বাসী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম প্রমুখ।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: