• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

আরাফার দিনে যে দোয়া বেশি পড়তেন রাসুল (সা.)

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ৫ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ
আরাফার দিনে যে দোয়া বেশি পড়তেন রাসুল (সা.)

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ‘ইয়াউমুল আরাফা’ বা আরাফার দিন। হিজরি বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী বুধবার (৪ জুন বা ৮ জিলহজ) থেকে পবিত্র নগরী মক্কায় হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকালে আরাফাতের ময়দানে মসজিদে নামিরায় খুতবা দিয়েছেন মক্কার গ্রান্ড মসজিদের ইমাম ও খতিব ড. সালেহ বিন হুমাইদ। বাংলাসহ ৩৫টি ভাষায় হজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। খুতবায় পুরো মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

পবিত্র এই দিনে মহান আল্লাহ সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহ.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেছেন- রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- আরাফাহ দিবসের তুলনায় এমন কোনো দিন নেই, যেদিন আল্লাহ তা’আলা সর্বাধিক সংখ্যক লোককে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দান করেন। আল্লাহ তা’আলা নিকটবর্তী হন, অতঃপর বান্দাদের সম্পর্কে মালায়িকার (ফেরেশতা) সামনে গৌরব প্রকাশ করেন এবং বলেন- তারা কী উদ্দেশে সমবেত হয়েছে (বা তারা কী চায়)? (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৩১৭৯)

তাই এই দিনে নবীজি বিশেষ একটি দোয়া পড়তেন। আবু আমর মুসলিম ইবন উমার (রহ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, নবীজি (সা.) বলেছেন- সর্বোত্তম দোয়া হলো আরাফা দিনের দোয়া। আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যা বলেছেন তাই সবচেয়ে মঙ্গলজনক-

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শায়্যিন ক্বদির।

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তারই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তার জন্য, আর তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (মেশকাত, হাদিস: ২৫৯৮; তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৮৫)

এছাড়াও পবিত্র আরাফার দিনে রোজা রাখলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের (২ বছর) গুনাহ মাফ হয়। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- প্রতি মাসে ৩ দিন সাওম (রোজা) পালন করা এবং রমজান মাসের সাওম এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান পর্যন্ত সারাবছর সাওম পালনের সমান। আর আরাফাত দিবসের সাওম সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছর ও পরবর্তী বছরের গুনাহের ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে। এছাড়া আশুরার সাওম সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছরের গুনাহগুলোর কাফফারা হয়ে যাবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬১৭)

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: