• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

যেসকল নারীদের বিয়ে করা পুরুষের জন্য হারাম

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ৩১ জুলাই ২০২২

আপডেট: ২১:৫৫, ৬ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
যেসকল নারীদের বিয়ে করা পুরুষের জন্য হারাম

নারী-পুরুষের মধ্যে সামাজিক ও বৈধ বন্ধন তৈরির অন্যতম পথ বিয়ে। ইসলামের আলোকে বিয়ে সম্পর্কে রয়েছে সুস্পষ্ট বিধি বিধান। যাদেরকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ ও হারাম সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। বিয়ে করার আগেই জেনে নেয়া দরকার যে, যাকে বিয়ে করছেন তার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কী? পাত্র-পাত্রীর সঙ্গে বংশগত, বৈবাহিক কিংবা ছোট বয়সে মায়ের বুকের দুধ পান করানোর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা?

সাম্প্রতিক সময়গুলোতে হারাম সম্পর্ক ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। বাড়ছে পরকীয়া। এখন বিয়ে করার আগে একটু দেখে নেওয়া দরকার কাদেরকে বিয়ে করা অবৈধ। যাদেরকে বিয়ে করা যাবে না, সে তালিকায় কুরআনে ১৪ জনের নাম এসেছে। সুতরাং বংশতগত, বৈবাহিক কিংবা দুধপান করানোর ভিত্তিতে যাদের সঙ্গে বিয়ে নিষিদ্ধ তাদের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। 

আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে- তোমাদের মা, তোমাদের কন্যা,  তোমাদের বোন,  তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভাইয়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে, তোমাদের ওই মা, যারা তোমাদেরকে নিজেদের বুকে দুধ পান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন (বুকের দুধ পানকারীনী মায়ের মেয়ে), তোমাদের স্ত্রীদের মা (শাশুড়ি), তোমরা যাদের সঙ্গে সহবাস করেছ, সে সব স্ত্রীদের মেয়ে, যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। তোমাদের নিজ ছেলেদের স্ত্রী (পুত্রবধু), দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা, কিন্তু অতীত যা হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু এবং অন্যের বৈধ স্ত্রীকে বিবাহ করা হারাম।’

বংশগত সম্পর্কের দিক থেকে যাদের বিয়ে করা হারাম তারা হলো-

আপন মা বিয়ে করা হারাম। মা থেকে উপরের দিকে নানি, নানির মা আবার মায়ের বোনসহ মা-এর মেয়ে সন্তান, সন্তানের সন্তানকেও বিধানের আলোকে বিয়ে করা হারাম। নিজের মেয়েকে বিয়ে করা হরাম। মেয়ে থেকে নিচের দিকে নাতনি (নিজ মেয়ের মেয়ে), নাতনির মেয়ে এভাবে নিচের দিকের মেয়েদের বিয়ে করা হারাম। এ ক্ষেত্রে ছেলের ঘরের নাতনিসহ নিচের দিকের মেয়েদেরও বিয়ে করা হারাম।  আপন বোনকে বিয়ে করা। আবার বাবার অন্য স্ত্রীর মেয়েদেরও বিয়ে করা যেমন হারাম তেমনি মায়ের অন্য স্বামীর মেয়েকেও বিয়ে করা হারাম। বাবার আপন বোন ফুফুকে বিয়ে করা হারাম। আবার বাবার বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনকেও বিয়ে করা হারাম। মা-এর আপন বোনকে (খালা) বিয়ে করা হারাম। আবার মা-এর বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনকেও বিয়ে করা হারাম। ভাই-এর মেয়ে ভাতিজির সঙ্গেও বিয়ে হারাম। ভাই আপন হোক কিংবা বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় হোক। বোন-এর মেয়ে ভাগিনিকে বিয়ে করা হরাম। চাই সে বোন আপন হোক কিংবা বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় হোক।

বৈবাহিক সম্পর্কে যারা হারাম:

স্ত্রীদের মাকে (শাশুড়ি) বিয়ে করা হারাম। স্ত্রীদের নানি, দাদিও এ বিধানের আলোকে হারাম।নিজ স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের পর সহবাস করার পর স্ত্রীর অন্য স্বামীর ঔরসজাত মেয়েকে বিবাহ করাও হারাম। ছেলের বউকে বিয়ে করা হারাম। ছেলে শব্দের ব্যাপকতার কারণে পৌত্র ও দৌহিত্রের স্ত্রীকেও বিয়ে করা যাবে না। বংশ ও দুধ মায়ের দিকে থেকে দুই বোনকে এক সঙ্গে বিয়ে করা হারাম। স্ত্রীর ওই বোন হোক বৈমাত্রেয় কিংবা বৈপিত্রেয়। তবে যদি কোনো বোন মারা যায় কিংবা তালাকের মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন হয় তবে নির্ধারিত সময়ের পর অন্য বোনকে বিয়ে করা যাবে।

বুকের দুধ পান করানোর কারণে যাদের দিয়ে করা হারাম:

কুরআনে বিধান মতে দুধ মা ও দুধ বোনকে বিয়ে করা হারাম। যদি কোনো ছেলে কিংবা মেয়ে কোনো নারীর বুকের দুধ নির্দিষ্ট সময়কাল (২ বছর) পান করে তবে ওই সন্তানের জন্য দুধ পান করানো নারী তার মা, নারীর স্বামী তা বাবা, নারীর নিজ ছেলে মেয়ে তার ভাই-বোন, নারীর বোন তার খালা, স্বামীর বোন তার ফুফু হয়ে যায়। আর তাদের সঙ্গে সে সন্তানের বিয়েও হারাম হয়ে যায়।

খালাতো, মামাতো, ফুফাতো বা চাচাতো বোনদের বিয়ে করা হারাম নয়। চাচার মৃত্যুর পর কিংবা চাচার কাছ থেকে তালা পাওয়া নারীকেও বিয়ের বৈধতা দিয়েছে ইসলাম।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: