• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

জুমার দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল ও ফজিলত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০২, ২৬ আগস্ট ২০২২

ফন্ট সাইজ
জুমার দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল ও ফজিলত

মুসলমানদের কাছে জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। এ দিনের ফজিলত অনেক বেশি। দিনটি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে অতি মর্যাদাসম্পন্ন। দিনটিকে সদরে গ্রহণ করেছেন মুমিন মুসলমান। জুমার দিনের ফজিলতগুলো হাদিসের একাধিক বর্ণনায় ওঠে এসেছে। এই দিনের বিশেষ কিছু আমল ও ফজিলত রয়েছে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূর্য উঠা দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এ দিন আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিন তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে।’ অন্য বর্ণনায় এসেছে, এ দিনটিতেই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম)

এই দিনের অনেক আমল রয়েছে। তবে জুমার দিনের বিশেষ আমলগুলোর একটি হলো আল্লাহ তায়ালার কাছে একাগ্রচিত্তে দোয়া করা। কারণ এদিন দোয়া করলে-বিশেষভাবে কবুল করা হয়। এছাড়াও বান্দাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।

হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে যে, তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর নিকট যে দোয়া করবে আল্লাহ তা কবুল করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, সেই সময়টায় যদি কোনো মুসলিম নামাজ আদায়রত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ অবশ্যই তার সে চাহিদা বা দোয়া কবুল করবেন এবং এরপর রাসুল (সা.) তার হাত দিয়ে ইশারা করে সময়টির সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪০০)

আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বর্ণনা করেন, শুক্রবারে আছরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়। বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থ যাদুল মাআ’দ-এ বর্ণিত আছে, জুমার দিন আছরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়। (যাদুল মাআ’দ : ২/৩৯৪)

জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল
মর্যাদাপূর্ণ এই দিনের অনেক আমল হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে কিছু আমল ধারাবাহিক উল্লেখ করা হচ্ছে। ১. গোসল করা। ২. উত্তম পোশাক পরিধান করা। ৩. সুগন্ধি ব্যবহার করা। ৪. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা। ৫. বেচাকেনা বন্ধ রাখা। ৬. দ্রুত মসজিদে যাওয়া। ৭. সুরা কাহফ তিলাওয়াত। ৮. সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পাঠ। ৯. বেশি বেশি দরুদ পাঠ। ১০. দোয়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: