রজব মাস জুড়ে বেশি করে যে দোয়া পড়তেন বিশ্বনবী

আরবি ১২ মাসের মধ্যে রজব মাস হিজরি বছরের সপ্তম মাস। এ মাসেই লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত রয়েছে। ২৬ রজব রাতে ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করে মহান আল্লাহ তায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন তার প্রিয় হাবিব। তাই মুসলিম উম্মাহ্’র কাছে এ মাসটি বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করে। আর দুই মাস পরই শুরু হয় পবিত্র রমজান বা রোজা’র মাস। তাই এ মাস থেকেই রমজান মাসের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করা সুন্নত। রাসুল (সাঃ) রজব মাস শুরু হলে রজব ও শাবান মাসের বরকত এবং রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছার জন্য দোয়া করতেন।
রজব মাসকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা আল্লাহর মাস হিসেবেও জানে অনেকে। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বছরে ১২টি মাস। এরমধ্যে ৪টি মাস সম্মানিত। তিনটি মাস ধারাবাহিক; আর তা হচ্ছে- জিলক্বদ, জিলহজ ও মহররম। আর চতুর্থ মাসটি হল- রজব, যা জমাদিউল উখরা ও শাবান মাসের মর্ধবর্তী মাস।’ (বুখারি)
পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তার জানান দেয় রজব ও শাবান মাস। এ কারণেই রমজানের পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব ও শাবান জুড়ে ইবাদত ও রোজা রেখে প্রস্তুতি নিতেন। আর বেশি বেশি একটি দোয়া পড়তেন। যাতে মুসলিম উম্মাহও তাঁর অনুসরণ-অনুকরণ করে। আর তাহলো-
اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ, আপনি রজব ও শাবান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত (হায়াত দিন) পৌঁছে দিন।’
যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব ও শাবান মাসে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন। সুতরাং মুসলিম উম্মাহর জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল।
উল্লেখ্য যে, ১৪৪৪ হিজরি সনের রজব মাস শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৪ জানুযারি)। সে হিসেবে আগামী ২৬ রজব মোতাবেক ১৯ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) দেশব্যাপী পালিত হবে পবিত্র শবে মেরাজ।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: