• NEWS PORTAL

  • মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস-বন্যা: আশ্রয় কেন্দ্রে বহু মানুষ, দীঘিনালায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ১ জুন ২০২৫

আপডেট: ২৩:১৬, ১ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস-বন্যা: আশ্রয় কেন্দ্রে বহু মানুষ, দীঘিনালায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি

টানা ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়িতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে ১ হাজার ১৭১  জন আশ্রয় নিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে। দীঘিনালায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

রবিবার (১ জুন) রাতে জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার ও পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন ও দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন। 

সকালে খাগড়াছড়ির শহরের নেন্সীবাজার, মহালছড়ির ধুমনীঘাট ও ভুয়াছড়ির রাজশাহী টিলা এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার সদস্যদের চেষ্টায় সড়কে যোগাযোগ সচল হয়। 

এদিকে বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনীর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এদিন সকাল থেকে মাইনী নদীর পাহাড়ী ঢলে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের পানিবন্দি প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার। বাড়ী-ঘর পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ৪৮টি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। ভারী বর্ষণে গুইমারা উপজেলার ছড়ার পানি বেড়ে জালিয়াপাড়া বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। 

পাহাড় ধসে জেলা সদরের শালবন, ভুয়াছড়ি ও গুগড়াছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু বাড়ী-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যার পাশাপাশি ব্যাপক পাহাড় ধসের আশংকা দেখা দিয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সবুজবাগ ও শালবনসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। জেলায় ১২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৭১ জন আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ  থেকে দুপুরে ও রাতে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। 

দীঘিনালার মাইনী নদীর পানি  বিপদসীমা অতিক্রম করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ডুবে গেছে দীঘিনালা মেরুং ইউনিয়নের সোবাহামপুর, চিটাগাং পাড়া ও মেরুং বাজারের আশেপাশের কিছু অংশ।  

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত কুমার সাহা বলেন, ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৩ পরিবার ও ছোবাহানপুর আরএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাবার এবং পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া টানা ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাড়ানোর দলীয় সকল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। 
 

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন: