• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

প্রতিনিধিত্ব ও বরাদ্দে বৈষম্যের প্রতিবাদে মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৩৪, ২৯ জুন ২০২৫

আপডেট: ২৩:৩৫, ২৯ জুন ২০২৫

ফন্ট সাইজ
প্রতিনিধিত্ব ও বরাদ্দে বৈষম্যের প্রতিবাদে মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ

পার্বত্য চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসমূহে ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বে বঞ্চিত বিশেষ প্রকল্পে খাদ্যশস্য ও অর্থ বরাদ্দে অনিয়ম ও বৈষম্যমূলক বন্টনের প্রতিবাদ জানিয়েছে খাগড়াছড়ির মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়। একইসাথে  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও তার ব্যক্তি সহকারী যুগ্ম সচিব কংকন চাকমার অপসারণ দাবিতে ৭ দিনের আল্টিমেটামও দিয়েছে তারা। দাবী মানা না হলে খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৯ জুন) সকালে খাগড়াছড়ি শাপলা চত্বরে ‘ত্রিপুরা ও মারমা জনগোষ্ঠী সচেতন নাগরিক সমাজ’র ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়। 

সমাবেশে বক্তাদের অভিযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পার্বত্য তিন জেলায় গৃহীত প্রকল্প এবং বরাদ্দগুলো শুধু বৈষম্যমূলক নয়,পরিকল্পিতভাবে শেখ হাসিনার দোসরদের পূনর্বাসন  সুস্পষ্টভাবেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে খাগড়াছড়ি মারমা ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রুমেল মারমা, সরোজ কান্তি ত্রিপুরা, আব্রে মারমা, মারমা যুব নেতা ইঞ্জিনিয়ার  ক্যরী মগ, যুব নেতা উজ্জল মারমা, মহিলা নেত্রী মউক্রাচিং মারমা, অংগ্য মারমা, মারমা যুব সমাজ নেতা, চাইহ্লাপ্রু মারমা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হাসান মারুফ স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন। 

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়- ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার অন্যতম সুবিধাভোগী ছিলেন সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে  রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হয়েও তিনি খাগড়াছড়িতে শেখ হাসিনার দোসরদের নানাভাবে আর্থিক ও খাদ্যশস্য বরাদ্ধ দিয়ে পুনর্বাসন করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মহালছড়ি উপজেলার মাইজছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাজাই মারমাকে ৪২ মেট্রিক টন চাল, খাগড়াছড়ি সদর ইউরিনয়নের আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জ্ঞান দত্ত ত্রিপুরাকে ৪২ মেট্রিক টন চাল ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পেরাছড়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তপন বিকাশ ত্রিপুরাকে ৪২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। 

স্মারকলিপিতে আরও অভিযোগ করা হয়- খাগড়াছড়িতে বাঙালি, ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমাসহ একাধিক সম্প্রদায় বসবাস করলেও প্রতিনিধিত্বে ও বরাদ্দে বাঙালি, ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়কে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা জুলাই-আগস্ট চেতনা বিরোধী। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সমূহে একচেটিয়াভাবে একটি সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে।

অভিযোগে আরও বলা হয়- ভৌগোলিক ও সামাজিকভাবে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে বহু জাতিগোষ্ঠীর সহাবস্থান, প্রকৃতির বৈরিতা এবং দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা ও উন্নয়ন সংকট একটি বিশেষ বাস্তবতা তৈরি করেছে। অথচ এমন বাস্তবতা সত্ত্বেও অন্তবর্র্র্তীকালীন সরকারের সময়কালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প ও খাদ্যশস্য/অর্থ বরাদ্দে ৯০ শতাংশেরও বেশি সুবিধা কেবলমাত্র চাকমা সম্প্রদায়ের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যা চরম বৈষম্যমূলক ও সংবিধানবিরোধী। 

বিভি/এমআর

মন্তব্য করুন: