গুলশান লেক পার্কে পৌষ উৎসব অনুষ্ঠিত
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে গুলশান লেক পার্কে আয়োজিত হয় পৌষ উৎসব। এই উৎসবের আয়োজন করে গুলশান সোসাইটি ও ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি)।
উৎসবের সাংস্কৃতিক পর্বে ছিলো নৃত্য, লোকগীতি, লালনসংগীত ও রবীন্দ্রসংগীতের পরিবেশনা। দর্শনার্থীদের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো দুই পর্বে আয়োজিত দেশীয় বয়নশিল্পের ফ্যাশন শো, যেখানে ১৮ ফ্যাশন ডিজাইনারের তৈরি পোশাক প্রদর্শিত হয়।
ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশের (এফডিসিবি) প্রেসিডেন্ট ও স্টুডিও মায়াসিরের স্বত্বাধিকারী ডিজাইনার মাহিন খান বলেন, ‘পৌষ উৎসব নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা অনেক দিনের। এ সময়টা বাংলার উৎসবমুখর সময়। গ্রামগঞ্জে পৌষকে ঘিরে নানা আনুষ্ঠানিকতা থাকে। গ্রামে গ্রামে পৌষ মেলা হয়। উৎসবটি যেন পরিপূর্ণ মনে হয়, তাই আমাদের কারুশিল্প ও বয়নশিল্পের উপকরণ যেমন আছে, তেমনি সাংস্কৃতিক পর্বে রয়েছে দেশিয় পরিবেশনা।’
পৌষ উৎসবের স্টলগুলোয় ছিলো দেশের নানা প্রান্তের লোকজ ঐতিহ্য ও কারুশিল্পের সমাহার। এ ছাড়া ছিলো পাট ও কাঁসা–পিতলের সামগ্রী, সোনারগাঁয়ের কাঠের পুতুল, জামদানি ও হাতপাখা, সিরাজগঞ্জের তাঁত, টাঙ্গাইলের শাড়িসহ বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের প্রদর্শনী।
গ্রামবাংলার শীত মানেই পিঠাপুলি—সেই রেওয়াজ ধরে উৎসবে রাখা হয়েছে দুধ–চিতই, নকশি পিঠাসহ নানা পিঠার আয়োজন।
ডিজাইনার শৈবাল সাহা বলেন, ‘নতুন ধান কাটার পর আমাদের গ্রামবাংলায় যে পিঠাপুলির উৎসব হয়, শহরের যান্ত্রিক জীবনে সেই আমেজ আমরা অনেকটাই ভুলতে বসেছি। গ্রামবাংলার সেই উৎসবমুখর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেই আমাদের এই আয়োজন।’
পৌষ উৎসবের স্টলগুলোয় সাজানো ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজ ঐতিহ্য ও কারুশিল্প। সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে কেউ হাতে বোনা শীতলপাটি নিয়ে এসেছেন তো রাজশাহী থেকে শখের হাঁড়ি নিয়ে অংশ নেন কেউ।
বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এই উৎসব চলে রাত ৮টা পর্যন্ত।




মন্তব্য করুন: