• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রাণস্পন্দন

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ৫ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ২৩:৩৫, ৫ অক্টোবর ২০২১

ফন্ট সাইজ
ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রাণস্পন্দন

দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সকল আবাসিক হল। এতে যেনো  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। হল খোলার ঘোষণায় দারুণ উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে হলগুলোতে। 

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ঘুরে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ফিরছেন প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়ে। বন্ধুদের স্বাগত জানাতে কেউ কেউ অপেক্ষা করছেন গেইটে। বন্ধুদের পেয়ে মেতে উঠছেন খোশ আড্ডায়। এদিন সকাল থেকেই পরিচয়পত্র ও ভ্যাকসিন কার্ড দেখে ফুল দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন হল প্রশাসন। বেশিরভাগ হলেই মিষ্টি এবং ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।   

জগন্নাথ হলের সামনে অপেক্ষমাণ বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শুভজিৎ দাস জানান, এক বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। বলেন, আমি সকালে হলে উঠেছি। আমার বন্ধু টাঙ্গাইল থেকে আসছে। ওর জন্য দাঁড়িয়ে আছি। এতোদিন পরে মনে হচ্ছে যেনো নতুন জীবন পেলাম।’

কবি জসীম উদ্দীন হলে যেয়ে দেখা যায়, প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুর রশীদসহ অন্যরা ফুল নিয়ে বসে আছেন শিক্ষার্থীদের জন্য। তিনি জানান, দুপুরে পর্যন্ত প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী হলে উঠেছেন। 

বাংলাভিশন ডিজিটালকে তিনি বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত মনোকষ্টে অপেক্ষা করছিলাম। আজকে শিক্ষার্থীরা ফিরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। আমরা ফুল, ক্যান্ডি, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত মাস্কসহ নির্দেশিকা দিচ্ছি। আমরা সবাইকে স্বাস্থ্য-বিধি মানতে বলছি। তারা অসুস্থ হলে আমরাও ব্যথিত হই।’

হল খুললেও এখনই উঠতে পারছেন না সকল শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অনার্স ৪র্থ বর্ষ এবং মাস্টার্স’র যেসব আবাসিক শিক্ষার্থী অন্তত করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারাই ফিরছেন হলে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যেই অন্য শিক্ষার্থীদেরও হলে ফিরিয়ে আনতে চায় প্রশাসন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, ‘উৎসবের আমেজে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা অব্যাহত রাখতে পারলে কোভিড থেকেও আমরা মুক্তি পেতে পারি। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরও যাতে আমরা বরণ করতে পারি।’

বিভি/এমএস

মন্তব্য করুন: