• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: এক টাকাও পায়নি নিহত সম্রাটের পরিবার (ভিডিও)

প্রকাশিত: ০০:২৬, ১৬ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ

ছোট্ট শিশু আজরাফ উদ্দীন সারাফ এখনও জানে না তার বাবা আর বেঁচে নেই। গুলিস্তানের ছিদ্দিক বাজারে গত ৭ মার্চ ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে মারা যান শিশুটির বাবা সম্রাট হোসেন। কিন্তু ৫ বছর বয়সী এই শিশু এখনও মনে করে তার বাবা কাজে গেছেন। শীঘ্রই ফিরবেন, পিতৃস্নেহে তুলে নিবেন কোলে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বাবা তো আর ফিরবেন না।

শিশুটি তার বাবা ফেরার আশায় পথ চেয়ে থাকলেও তার মা শুধু অন্ধকার দেখছেন চারদিকে। যেন কোনো আশা আর বেঁচে নেই। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি ছিলেন নিহত সম্রাট। কিন্তু তার মৃত্যুতে ৫ মাসের কন্যা শিশু আনজিল সারা আর সারাফকে নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবেন সেই দুঃশ্চিন্তা তাড়া করছে তাকে। এতিম দুই সন্তানের দায়িত্ব কে নিবে সে চিন্তায় দিন পার করছেন নিহত সম্রাটের স্ত্রী এলমা আক্তার রিয়া।

তিনি জানান, সেদিন দুপুরে বাসায় এসে খাবার খেয়ে আবার দোকানে গিয়েছিলেন সম্রাট। এরপর বিকালে ঘটনার খবর পেয়ে সম্রাটকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পান। পরে প্রথমে মার্কেটের সামনে এবং পরে হাসপাতালে গিয়ে স্বামীর মরদেহ খুঁজে পান তিনি। সেখানে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে অবচেতন হয়ে পড়লে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। এরপর কোন সময় তার স্বামীর মরদেহ স্বজনরা হাসপাতালের অনুমতি না নিয়ে কিভাবে বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন তা আর তিনি জানেন না। 

কিন্তু স্বামীর মরদেহ দাফন শেষে পরদিন যখন শুনলেন নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। তখন তিনিও হাসপাতালে যান। কিন্তু স্বামীর মৃত্যু সনদ না থাকায় এক টাকাও কেউ সহযোগিতা করেননি এতিম দুই শিশু সন্তানের এই মাকে। তাই এলমার আকুতি- সরকার যেন তার এতিম দুই সন্তানের পাশে দাঁড়ায়।

নিহত সম্রাটের শাশুড়ি মর্জিনা বেগম জানান- এতিম দুই শিশুর জন্য আর্থিক সহায়তার জন্য মৃত্যু সনদ পেতে কোলের শিশু নিয়ে সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তার মেয়ে। কিন্তু কেউ কোনো সহযোগিতা করছেন না। তাই তার মৃত্যু সনদ এবং আর্থিক সহায়তা পেতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ জাফর হোসেন বাংলাভিশনকে জানান, তবে তদন্ত সাপেক্ষ নিহত সম্রাটের মৃত্যু সনদ পেতে তার পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। সেই সঙ্গে দুই এতিম শিশুর যেন ভবিষ্যত নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

সম্রাটের এতিম দু্ই সন্তানের ভবিষ্যৎ যেন অন্ধকারে ডুবে না যায় সেজন্য সরকার ও হৃদয়বানদের সুদৃষ্টি চেয়েছে পরিবারটি।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: