রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রীজ পানির নীচে, পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে ডুবে গেছে সিম্বল অব রাঙ্গামাটি খ্যাত পর্যটনের ঝুলন্ত ব্রীজ। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে আংশিক ডুবে যাওয়ায় পর্যটকদের চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পর্যটন কর্পোরেশন।
আজ (৩০ জুলাই) বুধবার সকালে দেখা যায়, সেতুর বিভিন্ন অংশে পানি উঠে গেছে। ঝুলন্ত সেতুর কোথাও ৬ ইঞ্চি, কোথাও আরও বেশি পানি উঠে গেছে। এমন অবস্থায় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আজ থেকে তাৎক্ষণিক দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ঝুলন্ত সেতুতে পানি উঠে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা। তিনি জানান, ঝুলন্ত সেতুতে কাপ্তাই হ্রদের পানি প্রবেশ করায় আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাপ্তাই হ্রদের পানি যতোদিন না নামে, ততোদিন এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সদর উপজেলার পর্যটন এলাকায় অবস্থিত ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ এ সেতুটি ১৯৮৬ সালে নির্মাণ করা হয়। দুই পাহাড়ের মাঝখানে পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই দৃষ্টিনন্দন সেতুটি জলপথ ও স্থলপথে সহজেই যাওয়া যায় এবং ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ হিসেবে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে বিশেষ পরিচিতি পেয়েছে।
কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানির লেভেল প্রায় ১০৫ দশমিক ৫৪ এমএসএল। হ্রদের পানি ১০৯ এমএসএল এর কাছাকাছি আসলে জলকপাট দিয়ে হ্রদের পানি কর্ণফুলি নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
১৯৮৬সালে স্থাপনের পর থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৪-১০৫ এমএসএল হলে হ্রদের পানিতে ডুবে যায় পর্যটন কর্পোরেশনের ঝুলন্ত সেতুটি।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: