ঢাকায় ১০২ কি.মি. বেগে কালবৈশাখীর সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি

ছবি সংগৃহীত
রাজধানী ঢাকায় ১০২ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। একই সঙ্গে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক এ তথ্য জানিয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা জানান, বিকেলে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ছিল ১০২ কিলোমিটার রেকর্ড। যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় করা হয়েছে। তবে আগারগাঁওয়ে ঝড়ের গতি রেকর্ড করা হয়েছে ৭৪ কিলোমিটার। একই সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, রাত ৮টার পর ঝড় থেমে গেছে। তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে ৯টা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় আগামী সাত ঘণ্টার জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য পূর্বাভাস দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত বয়ে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল হামিদ বলেন, এ মাসের শেষ সপ্তাহ বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে টেকনাফ হয়ে মৌসুমি বায়ু দেশে প্রবেশ করতে শুরু করবে। প্রবেশের সময়টা ৪-৫ দিন লেগে যায়। এই মৌসুমি বায়ু প্রবেশের কারণে ঝড়টা কমে যাবে। বৃষ্টি দীর্ঘক্ষণ হবে। তখন ২০০ বা ৩০০ মিলিমিটারের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: