• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ফেনীর কৃষকদের চাপা কান্না

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:১৮, ২০ নভেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ফেনীর কৃষকদের চাপা কান্না

ফেনীতে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়ায় জেলায় ২৮২ হেক্টর আমন, ২৩ হেক্টর শীতকালীন সবজি, ২ হেক্টর সরিষা ও দশমিক ৫ হেক্টর খেসারি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের হাসি কেড়ে নিয়ে তাদের বুকে চাপা কান্না দিয়ে গেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কান্তি সেন বলেন, প্রাথমিকভাবে এখন একটি খসড়া হিসাব প্রস্তুত করা হয়েছে। জমির পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর চূড়ান্ত ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। 

সূএ জানায়, প্রতি মন ধান বর্তমানে এক হাজার পাচঁশত টাকার বেশি ধরা হলে আমনের ক্ষতির পরিমান দাঁড়ায় ১০০ কোটি টাকার বেশি। অন্যদিকে ২৩ হেক্টর  হেক্টর জমির শীতকালীন শাকসবজি সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে। বার বার চাষ করা জমির ফসল নষ্ট হওয়াতে কৃষকরা মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। মিধিলির ক্ষত চিহ্ন দ্বীপের কৃষকের হাসি কেড়ে নিয়ে তাদের বুকে চাপা কান্না দিয়ে গেছে।

নিজকুঞ্জরা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, ফলন ভালো হলেও আমন ধান ঘরে তুলতে পারবো কি না জানি না। এতো টাকা পুঁজি দিয়ে একদম শেষ সময়ে এসে বাতাসে ১৫ শতকের বেশি জমির ধান নুইয়ে পড়েছে। আরও কিছু জমিতে রবি শস্য রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন বৃষ্টির জন্য সময়মত আবাদ করা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সময়মত আবাদ করতে না পারলে লোকসান গুণতে হতে পারে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, যেসব ধান এখনো কাটা হয়নি, বাতাস না হলে সেগুলোতে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে টানা বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা মাঠে থাকা কাটা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দ্রুত যেন কাটা ধানগুলো ঘরে তোলা যায় সে বিষয়ে কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. একরাম উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে ফেনীতে ৬৬ হাজার ৭৫২ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৬১৬ মেট্রিকটন। এ পর্যন্ত জেলায় মাত্র ৫ শতাংশ ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে।

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: