• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

২ বছরের মধ্যে বিশ্বের সব দেশে কৃষিপণ্য রপ্তানির যোগ্যতা অর্জন করবে বাংলাদেশ

বাসস

প্রকাশিত: ১২:০৭, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১২:০৮, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
২ বছরের মধ্যে বিশ্বের সব দেশে কৃষিপণ্য রপ্তানির যোগ্যতা অর্জন করবে বাংলাদেশ

কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের যেকোন দেশে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি করার যোগ্যতা অর্জন করবে। তিনি আরো বলেছেন, কৃষি পণ্য রপ্তানির রোডম্যাপের অংশ হিসেবে এ্যাক্রেডিটেড সনদ প্রদানে আন্তর্জাতিক ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাহিদা উপযোগি মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে সারাদেশে ২ লাখ কৃষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিশ্বমানের প্যাকেজিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। 

রবিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর বার্ক অডিটোরিয়ামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেড সাপোর্ট মেজারস উইং আয়োজিত এলডিসি উত্তরণ এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণের প্রেক্ষিতে ‘কৃষি পণ্য রপ্তানি: চ্যালেঞ্জস এবং উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

ওয়াহিদা আক্তার বলেন, কৃষি পণ্য উৎপাদনে আমরা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছি। কিন্তু রপ্তানি বাড়ানো এবং উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য আরও কাজ করতে হবে। তিনি জানান, কৃষি পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণে কৃষি মন্ত্রণালয় ডেডিকেটেড রপ্তানি ডেস্ক চালু করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বার্ক) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উইংয়ের প্রধান অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খান বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় প্যানেল আলোচক ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ, গবেষণা সংস্থা র‌্যাপিড এর নির্বাহী পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, সিএবিআই কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মো. সালেহ আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বার্ক) সদস্য ড. মো. মোশাররফ উদ্দীন মোল্লা।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের তুলনায় আফ্রিকার অনুন্নত অনেক দেশ ইউরোপে কৃষি পণ্য রপ্তানি করছে। কিন্তু আমরা পারছি না। 

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কৃষি প্রক্রিয়াকরণ খাতে আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্যাকেজিং শিল্প করা যেতে পারে। কৃষিখাতে বিনিয়োগের জন্য তিনি বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড. নাহিদ রশীদ দেশে মৎস্য ও প্রাণিজ আমিষের উৎপাদনে বাড়াতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে যৌথভাবে কাজ করার আহবান জানান।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: