দিনাজপুরে করতোয়া নদীর বাঁধ ভাঙ্গনে বিলীন ঘর-বাড়ি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে করতোয়া নদীর পানি বাড়ায় নদী ভাঙ্গনের কারণে ঘর-বাড়ি বিলীন। ঘোড়াঘাট পৌরসভা ৩ নং ওর্য়াডের বড়গলি (নাপিতপাড়া) এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গত ২-৩ বছরের ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার নদীতে বিলীন হয়েছে। এতে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ৩০-৪০ টি পরিবার।
ঘোড়াঘাট পৌরসভার অন্তর্গত একটি খুবই অনুন্নত ও অবহেলিত জনবহুল এলাকা যা করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। র্দীঘদিন যাবৎ করতোয়া নদীতে প্রতিবছর বন্যা হওয়ার কারণে নদীর তীরবর্তী পশ্চিম পার্শ্বের এলাকার সাধারণ জনগণের জানমান ও বসতবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতি সাধন হয়ে আসছে। যার কারণে ইতিমধ্যে প্রায় ১২ টি পরিবার বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে। এলাকাবাসীরা জানায় প্রায় ৩০০টি পরিবার আগামীতে বিলীন হওয়ার আশংকায় রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা ১২ টি পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমাদের থাকার ঘর, রান্না ঘর, টয়লেট সব নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে আমরা অন্যের বাসায় গিয়ে রান্না-গোসল সহ জরুরী কাজ সম্পন্ন করছি। আমরা খুব অসহায়ত্বের মধ্যে জীবন যাপন করছি, খাওয়া নেই, ঘুম নেই কার্জ-কর্ম কিছুই করতে পারছি না তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন সহযোগিতা পান নাই বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে পৌরসভা মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন বলেন, নদী তীরবর্তী অধিকাংশ লোকজন দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে ও ক্ষতিগ্রস্ত এই সমস্ত পরিবার বর্তমানে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে এবং এরই মধ্যে বেশ কিছু পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। জানমাল বাঁচাতে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে এমপি শিবলী সাদিক মহোদয় ও উপজেলা প্রশাসন সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সমন্বয়ে যদি করতোয়া নদীর তীরবর্তী পশ্চিম পার্শ্বের এলাকা বরাবর একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা যেতো তাহলে এই বিরাট জনবসতি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতো।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: