হিজাবের জন্য ১০ ছাত্রীর চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে

হিজাব না পরে আসার কারণে ১০ ছাত্রীর চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে । নিউজটি এখন টক অব দা টাউনে পরিণত হয়েছে ।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মাইসা জাহান, তানজিলা আক্তার, আনীল আক্তার, তাসফিয়া, মাহাদিয়া, সুমাইয়া ও ইফাসহ ১০ শিক্ষার্থী হিজাব পরে না আসার কারণে তাদের চুল কেটে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করে। আর অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ের শিক্ষিকা রুমিয়া সরকারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ছোট্ট মরিয়মের জীবন নিলো মা!
শিক্ষার্থী মাইসা জাহান বলেন, আমার একটাই হিজাব। ঐ হিজাবটা ময়লা হয়ে গেছে তাই ধুয়ে দিয়েছি এজন্য পরেড়ে যেতে পারিনি। ম্যাডামকে অনেক অনুরোধ করে বললেও উনি শোনেনি।
অভিভাবকরা জানান, আমার মেয়ে অন্যায় করেছে বললেই হত আমরা শাসন করতাম । তাকে চুল কেটে ন্যাড়া বানিয়ে দিল। তাই আমার মেয়েটা ভেঙে পড়েছে ও আর স্কুলে যেতে চাচ্ছে না
সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া মোঃ ফরিদ বলেন, ক্লাসেই কেচি ছিল তাই হাতের কাছে পেয়ে এ কাজ করে ফেলেছে। তবে কাজটা অন্যায় করেছে। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ঐ শিক্ষিকাকে সাময়িক দরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তিন সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে দিতে হবে । এতে প্রদান করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনা জেনেছি । ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করছি। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। কাল সরেজমিনে গিয়ে দেখব। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: