• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

নর্দমায় পড়ে থাকা ৩৭টি কোরআন ও আমপারা উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ফন্ট সাইজ
নর্দমায় পড়ে থাকা ৩৭টি কোরআন ও আমপারা উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন ৩৭টি এবং ১১টি আমপারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়া ইউনিয়নের জনমানবহীন একটি ফসলী মাঠের পাশের নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক নর্দমায় পড়ে থাকা কয়েকটি কাপড়ের ব্যাগের মধ্যে এসব কোরআন উদ্ধার করে। পরবর্তীতে কোরআনগুলো উদ্ধার করে এলাকার একটি বাড়িতে রাখা হয়। আর তা দেখতে ভিড় করছেন আশেপাশের বাসিন্দারা।

এনিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। স্বচক্ষে এসব পবিত্র গ্রন্থ দেখতে ভিড় করছেন আশেপাশের গ্রাম থেকে আসা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। রবিবার দুপুর থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের জাফর হোসেন খানের ছেলে জহুর খানের বাড়িতে এই দৃশ্য দেখা যায়। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় একটি নর্দমায় কয়েকটি কাপড়, প্লাস্টিক ও টিস্যু ব্যাগ ভেসে থাকতে দেখে দুই যুবক। পরে একটি ব্যাগ তুলে দেখে তার মধ্যে পবিত্র কোরআন রয়েছে। পরবর্তীতে ১৪-১৫টি ব্যাগ উপরে তুলে তা থেকে মোট ৩৭টি কোরআন ও ১৩টি আমপারা উদ্ধার করে তারা। এরপর সেগুলো টিউবওয়েলের পানিতে ধুয়ে শুকানোর জন্য রাখা হয়  জহুর খানের বাড়ির উঠানে। আর এসব গ্রন্থের মোড়ক ও অক্ষর স্পষ্ট। এমনকি কয়েকটি আমপারা নতুন। 

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মতিন জানান, কাজটি যে বা যারাই করুক না কেন তা ঠিক করেনি। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ এভাবে নর্দমায় ফেলা মোটেই উচিত হয়নি। আমরা এর জন্য খুবই ব্যাথিত। আমরা কষ্ট পেয়েছি।  

আল কোরআন উদ্ধারকারী সিহাব বলেন, দুই বন্ধু মিলে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ নর্দমায় কয়েকটা ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখি। একটা ব্যাগ তোলার পর কোরআন দেখি। পরবর্তীতে বাকিগুলো তুলে এর মধ্যে থাকা কোরআন ও আমপারাগুলো বাসায় ধুয়ে রেখেছি। 
 
ইসলামের দৃষ্টিতে কাজটি মারাত্মক ও শাস্তিযোগ্য উল্লেখ করে স্থানীয় আলেমরা বলছেন, কোরআন নষ্ট হলে তা মাটির নিচে পুঁতে ফেলার নিয়ম রয়েছে। তবে ভালো ও পড়ার উপযোগী এসব ধর্মগ্রন্থ নর্দমায় ফেলা গর্হিত কাজ।

লক্ষীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. এখলাসুর রহমান বলেন, নষ্ট কোরআন মাটির নিচে পুঁতে রাখার বিধান রয়েছে। তবে এভাবে নর্দমায় ফেলা মারাত্মক পাপের কাজ। 

বারোঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ জানান, নর্দমায় কোরআন ও আমপারা পড়ে থাকার পর তা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে তা জানা যায়নি। আমরা প্রশাসনকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি। তারা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তবে এ নিয়ে কোন প্রকার সংঘাতে না জড়ানোর জন্য তিনি এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেন। 

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: