রংপুরজুড়ে বিক্ষোভ, এমপির বাড়িতে আগুন, নিহত ২
রংপুরের টাউনহল চত্বরের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলাজুড়ে। ছাত্রলীগের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ২ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে সেখানে অবস্থান নেয় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় পুরো নগর। তারা সরকার পতনের নানা শ্লোগান দেয়। কিন্তু হঠাৎই শান্তির কর্মসূচি রূপ নেয় ভয়াবহতায়।
ছাত্রলীগ বিক্ষোভ করতে করতে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করলে শুরু হয় সংর্ঘষ। এসময় সাংবাদিকসহ আহত হন শতাধিক মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বেলা ১২ টায় ছাত্রলীগের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এসময় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা পাল্টা জবাব দেয়। ইট পার্টকেলের ঢিল আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে দু’ঘন্টা ধরে। এক পর্যায়ে সংর্ঘষ রূপ নেয় সহিংসতায়। বিক্ষোভকারীরা পুড়িয়ে দেয়া জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
সংর্ঘষে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে রংপুর মেডিকেলসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে। রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী। নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি। তবে একটি সূত্র বলছে, নিহতদের মধ্যে একজনের নাম খোশরু, তিনি যুবলীগ কর্মী।
মুহুর্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে গোটা জেলায়। বদরগঞ্জে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য আহসানুল হক ডিউক চৌধুরী বাড়ি এবং মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদেও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে আগুনসহ থানা ঘেড়াও করে রাখে বিক্ষোভ কারিরা। এঘটনার পর বিক্ষোভকারীরা সংঘটিত হয়। দুপুর ২টার পর নগরিতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: