ফেনীতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় নিহত ৭, সাংবাদিকসহ আহত ৫০
ফেনীতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, পথচারী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ (১৯), সদর উপজেলার দক্ষিণ কাশিমপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দিন (১৮), ফাজিলপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২০), সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শকিব (২১)।
এছাড়া, সরোয়ার হোসেন মাসুদ, আরাফাত এবং বিপ্লব নামে অপর ৩ জনের লাশ মিললেও বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রবিবার (৪ আগস্ট) ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছেন। অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন। প্রায় ৬০ জনের মতো আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন জেনারেল হাসপাতালে। তিন নিহতের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রোববার (৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল অংশ দখলে নিয়ে নানা স্লোগানে মুখরিত করে তোলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দুপুরে মহাসড়কেই জোহরের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।
জানা যায়, সকাল থেকে শহরের ট্রাংক রোডস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরসহ পৌর সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়।
অন্যদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ একটি ককটেলের বিকট শব্দের পর শহরের তাকিয়া রোড থেকে ২/৩ জন কিশোর রামদা হাতে বেরিয়ে দাস পাড়া সড়কে ককটেল নিক্ষেপ করে। এরপরই শহীদ মিনার এলাকা থেকে সরকার দলীয় সশস্ত্র নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ট্রাংক রোডে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে ইট-পাটকেলের আঘাতে বাংলাভিশনের প্রতিনিধি রকিবুল ইসলাম, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসন সুলতান মাহমুদ (২৩), পথচারী সাইফুল ইসলাম ও যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম (৩২) আহত হয়েছে। তবে, বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জেলার কোথাও পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
নিহতদের মধ্যে ৫ জনের লাশ মর্গে রয়েছে বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও আসিফ ইকবাল। এছাড়া, শ্রাবণ নামে অপর এক শিক্ষার্থীর লাশ তার স্বজনরা নিয়ে গেছে বলে নিহতের পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: