দুই তরুণীকে পিটিয়ে নেহাল বললেন, ‘আমি ওদের উপকারের জন্যই এ কাজ করেছি’

মুন্সীগঞ্জে একটি পিকনিকের লঞ্চ ভাঙচুর ও যাত্রীদের মারধরের ঘটনায় নেহাল আহমেদ জিহাদ (২৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ মে) রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও তাকে শনিবার (১০ মে) দুপুর ২টার দিকে আটক করে পুলিশ।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) মো. ফিরোজ কবির জানান, এ ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে কিছু যাত্রী একটি লঞ্চ ভাড়া করে চাঁদপুরের মোহনপুর ঘুরতে যায়। ফেরার পথে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে কিছু কেনার জন্য থামে। এ সময় স্থানীয় ছাত্র-জনতার সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অসামাজিক কাজের অভিযোগে স্থানীয়রা লঞ্চ ভাঙচুর করে। এ সময় নেহাল আহমেদ জিহাদ নামে এক যুবক দুই তরুণী যাত্রীকে লঞ্চের ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে একটি বেল্ট দিয়ে পেটায়। এ ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় কয়েকজন যুবক আরেকজন নারীকে মারধর করে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এমভি ক্যাপ্টেন নামে লঞ্চটি পরে ঢাকার উদ্দেশে মুন্সীগঞ্জ ছেড়ে যায়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, জিহাদসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে, অভিযুক্ত নেহাল আহমেদ জিহাদ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ওদের উপকারের জন্যই এ কাজটি করেছি। কিছু মানুষ লঞ্চে লুট করছিল। তখন আমি বন্ধুদের দিয়ে সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে লঞ্চে পরিচিত যাদের পেয়েছি তাদের বের করে দিয়েছি। ওই দুই জন মেয়ের প্রতি উৎসুক জনতা খেপে গিয়েছিল। তখন মেয়েরা আমাদের বলেছে ওদের থেকে ”সেভ” করতে। তখন আমি ভাই হিসেবে তাদের শাসন করেছি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমি ভাই হিসেবে ২-৩টি বাড়ি দিই।’
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: