রাঙামাটিতে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় পাহাড়বাসীর মাঝে স্বস্তি

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের গতকাল বৃষ্টি কমে যাওয়ায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসলেও আজ সকাল থেকে আবারো বৃষ্টির শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি কমে আসায় স্বস্তিতে আছে পাহাড়বাসী।
এদিকে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ৩ জুন সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর ছিল ৮৯.৩৫ ফুট (এমএসএল) যা কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর থেকে ২০ এমএসএল কম রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বৃদ্ধির ফলে রাঙামাটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪টি ইউনিট দিয়ে ১৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
এদিকে রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কের কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস হলেও রাতেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মীরা মাটি অপসারণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
পাহাড়ী ঢলে রাগামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের কুতুকছড়ি সেতুর বিকল্প বেইলি ব্রীজের মাটি সড়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে।
সরকারি হিসাব মতে রাঙামাটি জেলায় পাহাড়ী ঢল ও প্লাবনে রাঙামাটি জেলার প্রায় ২৫ হাজার ৫৫৫ জন মানুষ বন্যা দুর্গত অবস্থায় রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছে ৮৭৪ জন। সরকারের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটি ২টি পৌরসভাসহ ১০ উপজেলায় মোট ২৪৬ টি আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে পর্যাপ্ত খাবার, পানি ও ঔষধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
রাঙামাটির বিভিন্ন তথ্য মতে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্ল্যাহ জানান, রাঙামাটিতে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন সব সময় আছে। ইতিমধ্যে পুরো জেলায় ২৪৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে গতকাল রাত পর্যন্ত ৮৭৪ জন আশ্রয় গ্রহণ করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে পর্যাপ্ত খাবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও রাঙামাটির ১০ উপজেলার জন্য প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন খাদ্য শষ্য বরাদ্ধ প্রদান করা হয়েছে। যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় রাঙামাটি ১০ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের সর্বাত্মক সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: