পাটুরিয়া-আরিচা নৌরুটে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের উপচে পড়া ভিড়

দুদিন বাদেই পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানীসহ আশপাশের মানুষজন গ্রামের বাড়ি ফিরছে। সকাল থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জেলার মানুষের ২১টি জেলার প্রবেশপথ মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও আরিচা নৌরুটগুলোতে বাড়ছে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ে বাণিজ্য শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সালাম হোসেন কাছ থেকে এমন খবর পাওয়া যায়।
এদিকে ঘাট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে দেশের অন্যতম বৃহৎ নৌবন্দর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রীর সংখ্যা কমে আসে অর্ধেকে। তবে ঈদসহ যে কোন উৎসবের সময় এই নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী চাপ বাড়ে। কিন্তু নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় বিগত কয়েকটি ঈদে যানবাহন ও যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে ফেরিঘাট পার হয়ে নিজ নিজ গন্তব্য পৌঁছেছেন। এবারে ঈদেও নদীপথ পারাপারে ভোগান্তি থাকবে না বলে দাবি করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার পান্না লাল নন্দী জানান, ঈদে যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষদের নিরাপদে নির্বিঘ্নে নৌপথ পারাপারে এই নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৭ টি ফেরি চলাচল করছে। অন্যদিকে সাধারণ যাত্রীদের পারাপারের পাটুরিয়ায় ১৮ টি লঞ্চ ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১৩ টি লঞ্চ চলাচল করবে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ে বাণিজ্য শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক মোঃ সালাম হোসেন বলেন, গতকালের চেয়ে আজকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন চাপ বাড়ছে পাটুরিয়ায়। তবে নৌবহরে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যাত্রী ও যানবাহন চালকদের তেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। অন্যদিকে পদ্মা নদী পানি বৃদ্ধির কারণে নদীর স্রোতও বেড়েছে, ফলে ফেরির ট্রিপেও সময় কিছুটা বেশি লাগছে।
তিনি বলেন, রাতভর যানবাহন ও যাত্রীর বেশ চাপ ছিলো, তবে সকালের দিকে অপেক্ষামাণ সকল যানবাহনই পারাপার করতে পেরেছি। এখন ঘাট এলাকায় পরিবহন বাস, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি রানিংয়ে আছে। পশুবাহী ট্রাকগুলোও ফেরিতে ওঠতে নদী পার হচ্ছে। নৌপথে ছোট বড় মিলে ১৭ টি ফেরি চলাচল করছে। এবারের ঈদে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে নৌপথ পারাপারে হতে পারবে বলে তিনি জানান।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: