রাজবাড়ীতে ঈদ ঘিরে প্রস্তুত হচ্ছে মাংস কাটার খাইট্টা

কোরবানির পশুর মাংস কাটতে খাইট্টা প্রয়োজন। সারা বছর কসাইখানায় এর ব্যবহার হলেও, ঈদুল আজহায় বাড়িতে বাড়িতে থাকে এর বিপুল চাহিদা। তাই কোরবানির মৌসুমে গ্রাম থেকে শহরের বাড়ি পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ঘটে। আগামীকাল (শনিবার) ঈদ উপলক্ষে মাংস কাটার কাজের সুবিধার্থে বাজার থেকে খাইট্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
রাজবাড়ী শহরের ভাজনচালার পাটকাঠি বাজারে গিয়ে দেখা যায় তেঁতুল গাছের গুড়ি কেটে মাংস কাটার খাইট্টা তৈরি করা হচ্ছে। আবার কেউ বসে বিক্রি করছে। আকার ভেদে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই খাইট্টা।
বিক্রেতা সুমন জানান, আমি খড়ির ব্যবসা করি। কোরবানির সময় এই খাইট্টা বিক্রি করি। খাইট্টা তৈরিতে সাধারণত তেতুঁল কাঠ ব্যবহার করা হয়। কারণ তেঁতুল কাঠ অন্য কাঠের চেয়ে শক্ত। কসাইরা পশুর মাংস কাটার কাজে এ খাইট্টা ব্যবহার করেন। ঈদুল আজহায় যারা বাড়িতে পশু কোরবানি দেয় তারা অনেকে কিনে থাকেন। তেঁতুল গাছের গুড়ি কিনে আজ প্রস্তুত করছি। আগের কিছু রয়েছে সেগুলো বিক্রি করছি।
খাইট্টা কিনতে আসা আকবর বলেন, প্রতি বছর ঈদুল আজহায় শখ করে একটি করে খাইট্টা কিনি। মাংস কাটার কাজে এটি ব্যবহার করি। খাইট্টা কেনাটাও ঈদের একটি আনন্দ। মাঝারি একটি খাইট্টা ২৫০ টাকা দাম চেয়েছিলো, দরদাম করে ২০০ টাকায় কিনলাম।
কাঠ ব্যবসায়ী গৌতম বলেন, তেঁতুলগাছ এখন খুব কম দেখা যায়। যা পাওয়া যায় অনেক দাম দিয়ে কিনতে হয়। অন্য কাঠের থেকে তেঁতুল গাছ শক্ত হওয়ায় এই গাছ দিয়ে খাইট্টা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বেচাকেনা এখনো জমে নাই। আজ গুড়ি কেটে খাইট্টা তৈরি করা হচ্ছে। কোরবানির ঈদে বিভিন্ন স’মিল থেকে ছোট ছোট গুঁড়ি কেনা হয়, আবার অনেকে বাড়ির গাছ বিক্রি করে সেখান থেকেও কিনে সেগুলো মাংস কাটার উপযোগী করে নির্দিষ্ট মাপে টুকরা করে খাইট্টা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হয়।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: