দুই দিন পর যমুনায় ভেসে উঠলো তরুণীর লাশ, নিখোঁজ দুই শিশু

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় নদীতে গোসলে করতে গিয়ে পৃথক ঘটনায় নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর বর্ষা আক্তার (১৮) নামে এক তরুণীর লাশ ভেসে উঠেছে। শুক্রবার (১৩) সকালে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় যমুনা নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে। পরে স্থানীয় লোকজন লাশটি উদ্ধার করে।
এর আগে গত বুধবার দুপুরে বাড়ির কাছে নদীতে গোসলে গিয়ে ওই তরুণীসহ এক শিশু নিখোঁজ হয়। তবে, শিশুটির খোঁজ এখন পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া উপজেলার বন্যা এলাকায় পৃথক ঘটনায় অপর এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তার সন্ধানও মেলেনি।
নিহত বর্ষা (১৮) আক্তার উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নের বাচামারা পূর্বপাড়া গ্রামের আবদুল কাদেরের মেয়ে। নিখোঁজ দুই শিশু হলো- বাচামারা পূর্বপাড়া গ্রামের রহিজ বেপারীর মেয়ে লামিয়া আক্তার (১১) এবং উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের বরটিয়া গ্রামের আবদুস সালামের মেয়ে তায়েবা আক্তার (১২)।
বুধবার দুপুর দুইটার বাচামারা পূর্বপাড়া গ্রামে বাড়ি কাছে যমুনার শাখা নদীতে গোসল করতে গিয়ে বর্ষা ও লামিয়া পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়।
স্থানীয় বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় যমুনা নদীতে এক তরুণীর লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে তারা লাশটি উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বর্ষার লাশ শনাক্ত করেন।
এ দিকে একই দিন দুপুরে উপজেলার জিয়নপুর ইউনিয়নের বন্যা ঘাট এলাকায় যমুনা শাখা নদীতে গোসল করতে গিয়ে তায়েবা (১২) নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে গত বুধবার বিকেলে আরিচা স্থল কাম নদী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের দুইটি ইউনিট নিখোঁজ তিনজনের সন্ধানে কাজ শুরু করে। তবে কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল থেকে সন্ধ্যায় পর্যন্ত বাচামারা পূর্বপাড়া যমুনা শাখা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালান ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা। তবে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নিখোঁজ হওয়া দুই শিশু ও তরুণীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর এম আল-মামুন বলেন, নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। লাশ পরিবারের সদস্যরা লাশ বাড়িতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গোসলে নেমে নিখোঁজ অপর দুই শিশুর খোঁজে ফায়ার সার্ভিস দুই দিন উদ্ধার অভিযান চালালেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: